বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়েছে। আজ বিকেলে উচ্ছেদ অভিযানের জন্য মাইকিং শুরু হচ্ছে। নির্ধারিত সময়েই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
আজ শুক্রবার(১৭ জানুয়ারী) দুপুরে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়েছে। টয়লেট, ওয়াচ টাওয়ার, প্যান্ডেল সহ যাবতীয় কাজ ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে। আশা করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল কাজ শেষ হবে। ইজতেমা মাঠ এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য আজ বিকেল থেকে মাইকিং শুরু হবে। বিদেশী মেহমানদের নিরাপত্তা সহ তাদের ইজতেমা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
এ বছর প্রথম ধাপে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। আগের দেয়া তারিখ অনুসারে দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া কথা রয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বের বিষয়ে সরকার এখনো স্পষ্ট কোন ঘোষনা দেয়নি।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বর শুরায়ে নেজামের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হয়। ২০ ডিসেম্বর সাদপন্থিরা জোড় ইজতেমা করবেন ও জুবায়েরপন্থিরা করতে দিবে না বলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর সাদপন্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালনের ঘোষনা দিয়েছিল। কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর রাতেই ঘটে যায় অপ্রীতিকর ঘটনা। নিহত হন তিন জন ও আহত হয় শতাধিক মুসল্লি।
এই ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় শুরায়ে নেজামের পক্ষ থেকে ২৯জনকে শনাক্ত ও শত শত অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা হয়। এই মামলার শনাক্ত ৫ নম্বর আসামী মুয়াজ বিন নূর ও ৬ নম্বর আসামী জিয়া বিন কাসেম সহ তিনজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
বর্তমানে সাদপন্থীরা দ্বিতীয় পর্ব করবেন বলে জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষনা আসেনি। আর শুরায়ে নেজাম সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ করতে আন্দোলন করছেন। তারা নিষিদ্ধ হলে ইজতেমা করতে পারবে না বলে শুরায়ে নেজামের দাবী।