খুলনা-যশোর অঞ্চলের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেছন, রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধ করে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা শ্রমজীবী মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। বিজেএমসির আওতাধীন ২৬টি জুট মিল চালুর দাবিতে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় খালিশপুর ক্রিসেন্ট গেটে এক শ্রমিক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল রক্ষায় খুলনা-যশোর অঞ্চলিক কমিটি এ শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামীলীগ শাসনামলে লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে ২০২০ সালের ১ জুলাই খুলনা, চট্রগ্রাম ও ঢাকা অঞ্চলের সব পাটকল গুলো বন্ধ করে দেয় হয়। তখন শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়ে ছিলো যে, ৬ মাসের মধ্যে এই মিল গুলো আবারও উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু দীর্ঘ ৪ বছরের বেশী সময় পার হলে বন্ধকৃত মিল গুলো চালু করতে পারেনি।
তারা বলেন, শ্রমিকদের ছাটাই করা হলোও তাদের ন্যায্যর হিসাবা সঠিক ভাবে দেয়া হয়নি। মিল কর্তৃপক্ষের কাছে এখনো শ্রমিকদের পাওনা রয়েছে। কর্ম হারিয়ে শ্রমিকরা আজ পথে পথে ঘুরছে , পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। ফ্যাসিস শেখ হাসিনার সরকার শ্রমিকদের সাথে প্রতারনা করেছে। এই দেশের সম্পদ ধ্বংস করে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে। জুলুমবাজ শেখ হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতেই করতে হবে। খুলনা-যশোর অঞ্চলের শ্রমিক নেতারা, অবিলম্বে বিজেএমসির নিয়ন্ত্রনাধীন বন্ধকৃত ২৬টি পাটকল পুনরায় চালুর জন্য অর্ন্তবর্তী কালিন সরকারের কাছে জোর আহবান জানান ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পাট শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল রক্ষায় খুলনা-যশোর অঞ্চলিক কমিটির আহবায়ক মোঃ সমশের আলম। প্রধান অতিথি ছিলেন খালিশপুর থানা বিএনপির সভাপতি এ্যাডঃ শেখ মোহাম্মদ আলী বাবু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন খালিশপুর থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, পাট শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আবু দাউদ দীন মোহাম্মদ , খুলনা মহানগর শ্রমিককল্যান ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক মাহফুজার রহমান, খুলনা মহানগর ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি এস এম আবুল কালাম আজাদ, খুলনা জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহবায়ক মনির চৌধুরী সোহেল ও খালিশপুর থানা ইমাম পরিষদের সাধারন সম্পাদক মাওঃ আনোয়ারুল আজম।
শ্রমিক সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খালিশপুর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, খুলনা বৈসম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলার আহবায়ক তাসনিম আহম্মেদ, সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী, শ্রমিক নেতা মোশারেফ হোসেন, জাকির হোসেন, শামীম আহম্মেদ, মোঃ সেলিম ।