বর্তমানে নিজের মতো করে ব্যস্ত থাকলেও বছর চারেক আগে আইনি জটিলতায় বন্দি ছিলেন সাবরিনা। করোনাকালীন প্রতারণার অভিযোগে বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। গ্রেপ্তার হন, জেলও খাটেন। তবে সেই সময় তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করলেন সাবরিনা। চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনকে নিয়েও।
সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিয়ে বন্দিনী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. সাবরিনা জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।
ডা. সাবরিনা বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। ওই সময় করোনা মোকাবেলায় বিগত সরকারের বেশ কিছু ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে উঠছিল, তখন জনসাধারণের ফোকাস সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিনা কারণে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর পুরো কাজটি করেছে সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন। অথচ এই মামলায় আমি কোনো এজাহারের মূল আসামি ছিলাম না। আমার সঙ্গে এই মামলার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। তা ছাড়া যে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে সে প্রতিষ্ঠানেরও কোনো কিছুতে আমি জড়িত ছিলাম না।
সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, আমার মামলার সময়ে সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ তেজগাঁও জোনের ডিসি ছিলেন। আমাকেও তেজগাঁও থানার একটি মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়। পরে তিনি আমাকে আন-অফিশিয়ালি ফোন করে ব্যক্তিগতভাবে সেখানে যেতে বলেন। পরে একাধিকবার ফোন করে আমাকে যেতে বলেন। তবে ওনার কী উদ্দেশ্য ছিল, তা জানা নেই। পরে আমাকে যখন তেজগাঁও থানায় ডেকে নেওয়া হলো, সেবার তার সঙ্গে দেখা হলে তিনি আমাকে প্রশ্ন করেন, কোন মেডিক্যাল কলেজ ও কততম বিসিএস? এই দুটি প্রশ্ন করে তিনি আমাকে গ্রেপ্তার করলেন। কিন্তু গণমাধ্যমে নানা কিছু বলে নাটক সাজিয়ে তিনি আমাকে গ্রেপ্তার দেখান।
নাটক সাজিয়ে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে উল্লেখ করে ডা. সাবরিনা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তৎকালীন ডিবিপ্রধান হারুন পরিকল্পনা অনুযায়ী নাটক সাজাতে ও নাটক পছন্দ করতেন। সেটা সরকারের কোনো পদক্ষেপ বাস্তবায়ন কিংবা তার নিজের কোনো ব্যক্তিগত ইস্যুতেও হোক না কেন। আমার ক্ষেত্রেও পুরোটা এমনই হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে তিনি নাটক সাজিয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন। এটা পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি মামলা।