কুমারখালীতে একটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের 'হিজড়া' বলে সম্বোধন করেন এক বখাটে। এ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। সে সময় তিনি তার আরো দুই সহপাঠীকে ডেকে নিয়ে যান ওই বিদ্যালয়। তারা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ শুরু করেন। এ নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হলে তিন বখাটকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপার্দ করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ঘটে এ ঘটনা।
আকটরা হলেন- আলাউদ্দিন নগর এলাকার আব্দুল মোমিনের ছেলে সোহান পারভেজ শুভ (১৮)। তিনি আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রী কলেজের কারিগরি শাখার এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অপর দুজন হলেন একই এলাকার রাশেদুল ইসলামের ছেলে রাকিব হোসেন (১৮) এবং জমির উদ্দিনের ছেলে সোহাগ হোসেন (১৮)। তারা আলাউদ্দিন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বখাটেদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আটককৃতদের থানায় নিয়ে যান।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বলেন, মেয়েরা মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া উপলক্ষে খেলাধূলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সে সময় বখাটে শুভ বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল নিয়ে বিদ্যালয়ে ঢুকে এবং শিক্ষার্থীদের 'হিজড়া' বলে সম্বোধন করে। পরে শুভর আরো দুই সহপাঠী এসে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে অসাধু আচরণ করে। তারা বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শুভ বলেন, নতুন ভোটারদের তালিকা শুরু হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম আলাউদ্দিন নগর এলাকায় ভোটার তালিকার দায়িত্বে রয়েছেন। আমার এবং আমার বোনের ভোটার তালিকা জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি শহিদুল ইসলামের কাছে দিতে এসেছিলাম। তবে ভুল বোঝাবুঝিতে রোষানলে পড়েছি।
আটক সোহাগ বলেন, অবরুদ্ধের খবর পেয়ে আমি আর রাকিব শুভকে নিয়ে যেতে বিদ্যালয়ে এসে ফেঁসে গেছি। আমরা কিছু করিনি।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ভোটার তালিকা চলছে গ্রামে। তবে বখাটে শুভ বিদ্যালয়ে ঢুকে অসাধু আচরণ শুরু করে। পরে আরো দুইজন এসে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে তাদের আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।