মুখ দেখে নয় আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন নরসিংদীর পর্দানশীন নারীরা। জানিয়েছেন তিনটি দাবি।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার সামনে নরসিংদী জেলা পর্দানশীন নারী সমাবেশের আয়োজনে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
পরে একটি মিছিল নিয়ে শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এরপর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার বরাবর স্মারকলিপি দেন।
তাদের দাবিগুলো হলো
বিগত ১৬ বছর যাবত যে সমস্ত সাবেক ইসি কর্মকর্তা পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছে ,তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
পর্দানশীল নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসির অধিকার অক্ষুন্ন রেখে অবিলম্বে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার দেওয়া এবং সব ক্ষেত্রে পরিচয় সনাক্তে চেহারা ও ছবি মেলানোর সেকেলে পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে হবে।
পর্দানশীন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় নারীদের নিয়োগ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
মানববন্ধনের পর্দানশীন নারীরা বলেন, শুধুমাত্র পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে পর্দানশীন নারীরা বৈষম্যের শিকার। গত ১৬ বছর ধরে অসংখ্য পর্দানশীন নারীর নাগরিকত্ব আটকে রাখা হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্র করা হয়েছে বঞ্চিত। পরিচয় যাচায় জোর করে বেগানা পুরুষের সামনে চেহারা খুলতে বাধ্য করা হচ্ছে । তারা এসব হেনস্তার অবসান চান।
তারা আরো বলেন, গত ১৬ বছর যাবত জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সাবেক কতিপয় স্বৈরাচারী কর্মকর্তা শুধুমাত্র ছবি না তোলার অজুহাতে পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছে। এতে পর্দানশীন নারীরা মৌলিক ও নাগরিক অধিকার বঞ্চিত হয়ে নিদারুণ কষ্টে পতিত হয়েছেন। অনেক পর্দানশীন নারী অর্থভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন, কিন্তু এনআইডি ছাড়া ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি বিক্রি করতে পারছেন না। বিধবা বা তালাক হওয়া পর্দানশীন নারীরা এনআইডির অভাবে বাসা ভাড়া নিতে পারছেন না, বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করতে পারছেন না।