বর্তমান সরকারের সু-দৃষ্টিতে চলমান বন্দর চ্যানেল ড্রেজিং, রেল যোগাযোগ আর পদ্মাসেতুর সুফল পাচ্ছে মোংলা সমুদ্র বন্দর।
ফলে দীর্ঘদিন পর রুপপুর প্রকল্প, মেশিনারিজ পণ্য ও আমদানিকৃত পণ্য বোঝাই কন্টেইনার নিয়ে একই সাথে ৩টি গভীর ড্রাফটের জাহাজ সরাসরি এসে বন্দর জেটিতে ভিড়তে পেরেছে। বছর শুরুর এক মাসে আমদানি-রপ্তানিকৃত পণ্য নিয়ে প্রায় ৮০টি পণ্য বোঝাই বিদেশি জাহাজ এ বন্দরে খালাস হয়েছে। আর বন্দর চ্যানেলে পণ্য খালাস করছে ১৭টি বাণিজ্যিক জাহাজ।
বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব মো: মাকরুজ্জামান জানান জাহাজ আগমন, কনটেইনার হ্যান্ডলিং, গাড়ি আমদানি, কার্গো হ্যান্ডলিংসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানির সব সূচকেই ঊর্ধ্বগতি অবস্থানে রয়েছে মোংলা সমুদ্র বন্দর। ফলে এ বন্দরের মাধ্যমে যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে জাহাজের সংখ্য, তেমনই বৃদ্ধি পেয়েছে বন্দরের রাজস্ব আয়। একই সঙ্গে বন্দরকে ঘিরে বাস্তবায়ন হচ্ছে নানা প্রকল্পের কাজ। ফলে হাজার হাজার মানুষের সৃষ্টি হয়েছে বন্দরসহ শিল্পাঞ্চলের কর্মসংস্থান।
চ্যানেল ড্রেজিং’র ফলে দীর্ঘদির পর এক সাথে ৩টি গভীর ড্রাফটের জাহাজ পণ্য নিয়ে বিদেশ সরাসরি মোংলা বন্দর জেটিতে এসে ভিড়তে পেরেছে। আগে চ্যানেলে গভীরতা কম থাকায় জেটিতে গভীর ড্রাফটের জাহাজ ভিড়া কখনই সম্ভব হতো না। বাণিজ্যিক জাহাজ বন্দরে প্রবেশ করলে কিছু পণ্য বহিঃনোঙরে খালাস করে ড্রাফ কমিয়ে তার পর হারবাড়িয়া বা জেটিতে আনতে হতো। এক সাথে সরাসরি যে ৩টি জাহাজ ভিড়েছে তার মধ্যে মেশিনারিজ পণ্য নিয়ে পানামা পতাকাবাহী “এমভি কে এস”, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পণ্য নিয়ে মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী “এমভি মাক্স” ভারতের পতাকাবাহী “এমভি জাইরা” জাহাজ বন্দরে পণ্য খালাস করছে।
আগামী দিন জাহাজ ৩টি বন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি অর্থ বছরে এ বন্দর দিয়ে মোট ৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছে বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।