শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এক শ্রেণির খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে। তারা বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে হবে। খুঁজে দেখেন, এই কথাগুলো যেখান থেকে বেরিয়ে আসছে, তারাই মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল। ২ থেকে ৩ শতাংশের বেশি ভোট নেই তাদের। ভোটও যাতে সুষ্ঠুভাবে না হয় সে অবস্থার মধ্যে তারা দেশকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে।
আজ শনিবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে গণতান্ত্রিক জাগ্রত বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তারা ব্যাংক দখল করে ফেলেছে, কোচিং সেন্টার দখল করে ফেলেছে, ২০ তলা হাসপাতাল পর্যন্ত দখল করে ফেলেছে। এরা এখন তৎপর হয়ে গেছে। তাই গণতন্ত্রকারীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, একটা গোষ্ঠী মনে করে একমাসের মধ্যে সরকার পরিবর্তন, হাসিনার বিদায় ও গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে। কিন্তু অতীতে কী ছিল, এটা তারা গ্রহণ করতে চায় না। এমনকি সরকারের প্রধান যে ব্যক্তি আছেন, তিনিও অতীতটা দেখতে পারেন না। অতীতে আর যান না। এক মাসের মধ্যে আটকে গেছেন।
ড. ইউনূস আমেরিকা গিয়ে একজনকে পরিচয় করিয়ে দিলেন, সে নাকি মাস্টারমাইন্ড- এমন মন্তব্য করে দুদু বলেন, এই ছেলেটি এক মাসের ভেতরে সবকিছু উদ্ধার করে ফেলেছে। এমনকি হাসিনাকেও তাড়িয়েছে। সবকিছু সফল করে ফেলেছে। আমার কাছে মাঝে মাঝে মনে হয় ড. ইউনূস একমাসের মধ্যে এরকম একটা সফল আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড খুঁজে পেলেন, তাহলে ছয় মাসে খাদ্যের মাস্টারমাইন্ড, আইনশৃঙ্খলার মাস্টারমাইন্ড, বাণিজ্যের মাস্টারমাইন্ড বের করতে পারলো না কেন? এই কয়টা লোক গত ছয় মাসে বাংলাদেশে যা করেছে সেটা খুব ভয়ংকর।
রাজনীতিবিদরা এনজিও করতে যায় না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এনজিওর যে অত্যাচার, তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ রাজনীতিবিদদের কাছে আসে। শেষ বিচারে রাজনীতিবিদরাই দেশ পরিচালনা করে। সেই রাজনীতিবিদরা যখন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে তখন দেশের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাবে, ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হবে।