ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্টের পর লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে আড়াই লাখ বুলেট ও ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি।
এ ব্যাপারে আজ জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছে প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অব. লে. জে. আব্দুল হাফিজ।
আব্দুল হাফিজ বলেন, ‘আমি আমার সমাপনী বক্তব্যে বলেছি জেলা প্রশাসক হিসেবে আগামী দিনে কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আমি বলেছি-প্রায় ১৪০০ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি, যেগুলো ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে লুট হয়েছিল। আড়াই লাখ গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি। সেগুলো তাদের জেলাতে কোনো না কোনো জায়গায় আছে। সেগুলো সন্ত্রাসীদের হাতে পড়তে পারে এবং তারা ব্যবহার করতে পারে।’
এখন অপারেশন ডেভিল হান্ট চলছে, এ ধরনের আরও কোনো অপারেশন চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে আব্দুল হাফিজ বলেন, ‘প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছিল। এর মানে যে অস্ত্র লুট হয়েছিল তার তিন-চতুর্থাংশের বেশি উদ্ধার হয়েছে। আমি মনে করি এটি বিরাট সাফল্য। ৬ লাখ গুলির মধ্যে আড়াই লাখ এখনও উদ্ধার হয়নি। এর মানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উদ্ধার হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে চলমান যে অভিযান আছে, তার মাধ্যমে উদ্ধার করা সম্ভবপর হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘আমি উল্লেখ করেছি-স্বৈরাচার এবং তাদের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় একত্রিত হচ্ছে এবং কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা দেশকে একটা অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারে তাদেরকে (ডিসিদের) সজাগ থাকতে হবে।’
এ সময় যুব সমাজকে সামরিক ট্রেনিংয়ের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, আনসার ভিডিপির মাধ্যমে প্রতি ইউনিয়নে একটি করে কোম্পানিকে ট্রেনিং ইতোমধ্যে দেওয়া হচ্ছে। এটিকে বড় আকারে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ডিসিদের পরামর্শ ভেবে দেখবে সরকার।