রাজারহাটে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর ছোট বোন (৯) কিছুদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিল। তার দাদি নাতনির চিকিৎসার খরচের জন্য ওই কিশোরীর বাবাকে একটি গরু দেন। পরে ওই কিশোরীর দূরসম্পর্কের দাদা আবদুল কাদের (সাবেক ইউপি সদস্য) ওই কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ আনেন এবং চৌকিদার পাঠিয়ে হুমকি দেন। বাবাকে দেয়া অপবাদের প্রতিবাদ করলে আবদুল কাদেরের উঠানেই নবম শ্রেণির ওই কিশোরীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়।
নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, তার দুঃসম্পর্কের দাদা আব্দুল কাদের সকাল ৯টার দিকে তাকে রশি দিয়ে গাছে বেধে রাখে। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে এবং মারপিট করে হাঁটু, গলা ও পিঠে জখম করে। পরে খবর পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে রাজারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রশি খুলে দেন।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তছলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে আছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অভিযুক্ত আব্দুল কাদের বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসের নির্দেশে মোহনাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেছি। নির্যাতন করা হয়নি।
ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘পিঠের চামড়া ছিঁড়ে দেয়া লাগত, মেয়েটি খুব বেয়াদব।’