শিল্প নগরী টঙ্গীর পপুলার ফার্মাসিটিকালের বর্জিত মালামাল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। বুধবার মধ্য রাতে এই মামলা দায়ের করা হয়। পরে রাতে নয়াগাঁও রেলওয়ে কলোনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাারকৃতরা হলেন, ঢাকার বনানী থানার মহাখালী আমতলী এলাকার মো: ঈব্রাহিমের ছেলে এনামুল হাসান প্রান্ত (২৬) ও নরসিংদী সদর থানার বসখালীপুর গ্রামের আলী আকবরের ছেলে সবুজ (২৫)। তারা দুইজনই সংঘর্ষের পর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে কলোনিতে অবস্থান করছিল।
জানা যায়, গত কয়েক মাস যাবৎ পপুলার ফার্মাসিটিকালের বর্জিত মালামাল নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুইটি গ্রুপের ভিতরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দুই মাসের ব্যবধানে বেশ কয়েকবার ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনা। একাধিকবার ঘটেছে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা। তবে উপযুক্ত আলামত না পাওয়া ও কারখানা কতৃপক্ষের কোন অভিযোগ না পাওয়ায় আইনে ব্যবস্থা নিতে পারিনি পুলিশ। বারবার হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও অজ্ঞাত কারনে কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করেনি কারখানা কতৃপক্ষ।
স্থানীয়দের দাবী, কারখানা কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা ও অপরিপক্ষ সিদ্ধান্তের কারনে বারবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবী কারখানার বাইরের ঘটনার দ্বায় স্থানীয় প্রশাসনের।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে সংঘর্ষের ঘটনায় পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের একজন নিরাপত্তাকর্মী আহত হয় এবং ঘটনাস্থলের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি ককটেলের খোসা উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ না করায় পুলিশের পক্ষ থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্বপ্রণোদিত হয়ে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষ ও বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। উক্ত মামলায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।