সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘শিবির কোপানো জায়েজ ছিল, আছে, থাকবে, ইনশাআল্লাহ’— এক ছাত্রদল নেতার এমন স্ট্যাটাসের প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে আইনের আওতায় আনতে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্রশিবির।
অভিযুক্তরা হলেন- নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের মো. জালাল আহমেদের ছেলে সোহাগ গাজী ও চর কাউনিয়ার ইউসুফ মাঝির ছেলে আরিয়ান হোসেন বাবলু। অভিযুক্ত দুজনই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় দুজন আইনজীবীসহ ছাত্রশিবিরের নোয়াখালী শহর শাখার আইন সম্পাদক আবদুল কাউয়ুম বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন। এ সময় শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রদান শেষে শিবিরের নেতৃবৃন্দ একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আইন সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘দেশকে অঅস্থিতিশীল করার হীন চক্রান্তের অংশ হিসেবে ছাত্রদল নেতা সোহাগ গাজী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হিংসাত্মক স্ট্যাটাস দিয়ে রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে। উসকানি ও রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়িয়ে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার চেয়ে সংগঠনের সিদ্ধান্তমতে সুধারাম মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।’
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে সাইবার-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নোয়াখালী শহর শিবির শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান বলেন, ‘আমরা ছাত্রদলের সঙ্গে দীর্ঘ ষোলো বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজপথে একসঙ্গে থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ছাত্রদলের তৃণমূলের কিছু নেতাকর্মীর মনে নতুন করে ফ্যাসিবাদের জন্ম নিচ্ছে। আমরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে আহ্বান থাকবে, যে সকল অতি উৎসাহী নেতাকর্মী এ ধরনের কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’