গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নয়, বরং ইউনিট প্রতি ১০ টাকা কমিয়ে ২০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। দাম বাড়ালে কারখানার চাবি সরকারের হাতে তুলে দেয়া ছাড়া বিকল্প কিছু থাকবে না।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গুলশান ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল শিল্প সমিতি (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি তথা রপ্তানি আয়ের প্রধান চালিকা শক্তি দেশের টেক্সটাইল সেক্টর দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, ডলারের সংকট, ব্যাংক সুদের হার ১৮ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের শর্তাবলী পূরণের অজুহাতে রপ্তানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনার অস্বাভাবিক হ্রাস এবং টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের সংকট ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
টেক্সটাইল শিল্পের উল্লিখিত সমস্যাবলী ছাড়াও ভারত থেকে বিভিন্ন স্থলবন্দর/কাস্টমস হাউজ ব্যবহার করে ডাম্পিং মূল্যে সুতা ও কাপড় স্থানীয় বাজারে প্রবেশের ফলে দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের চ্যালেঞ্জে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে, বলে দাবি করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, একদিকে গ্যাসের চড়া দাম ও সরবরাহ সংকট, অন্যদিকে এলডিসিকে সামনে রেখে সংকুচিত করা হয়েছে নগদ সহায়তা। যে কারণে সুতার উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এই সুযোগে ভারত পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় বাজারের তুলনায় কম দামে সুতা পাঠাচ্ছে বাংলাদেশে। এতে দেশি সুতার চাহিদা কমায় হুমকির মুখে এই শিল্প।