গাংনী উপজেলায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে হৃদয় হোসেন (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। এ সংঘর্ষের জেরে একদল বিক্ষুব্ধ লোক একটি মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপে আগুন দেন। এতে কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে।
মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল করিম জানান, বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার রামনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হৃদয় হোসেন চরগোয়াল গ্রামের শাহাদত আলীর ছেলে।
জানা যায়, রামনগর গ্রামের মিরাজুল ইসলাম সম্প্রতি একটি নতুন ট্রাক্টর কেনেন। তার ছেলে সামিউল ট্রাক্টর নিয়ে চরগোয়াল গ্রামে গেলে অসাবধানতাবশত ধাক্কা লেগে ঈদগাহের একটি গেট ভেঙে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরগোয়াল গ্রামের লোকজন রামনগরে গিয়ে সামিকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় রামনগরের জান্নাত মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপের মালিক জান্নাতসহ কয়েকজন বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলেও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।
একপর্যায়ে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তখন জান্নাত ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওয়ার্কশপ থেকে হাতুড়ি এনে এলোপাতাড়ি ঘোরাতে থাকে। ওই হাতুড়ির আঘাত হৃদয়ের মাথায় লাগলে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হৃদয়ের মৃত্যুর খবর চরগোয়াল গ্রামে পৌঁছালে উত্তেজিত গ্রামবাসী রামনগরে গিয়ে জান্নাতের মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে দোকানে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়।
সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে গাংনী থানার ওসি বানি ইসরাইলের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।