সাম্প্রতিক সময়ে ময়মনসিংহে চোর-ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য বেড়েছে। আতঙ্কে চলাচল করছে মানুষ। তবে ভুক্তভোগী শুধু সাধারণ জনতা নয়, ছিনতাইকারীর কবল থেকে রেহাই পাচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও।
ময়মনসিংহে আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন মুহাইমিনুল ইসলাম লিমন (৩০) নামের পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই)। তার মোবাইলফোন নিয়ে যান ছিনতাইকারী। গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরতলির শম্ভুগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মুহাইমিনুল ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) এসআই পদে কর্মরত।
পুলিশের এসআই মুহাইমিনুল ইসলাম লিমন বলেন, ‘গত মঙ্গলবার নেত্রকোনার আদালতে একটি মামলার সাক্ষ্য দিতে সোমবার ঢাকা থেকে সিএনজিযোগে নেত্রকোনা যাচ্ছিলাম। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শম্ভুগঞ্জ মোড় পর্যন্ত আসতেই একটি কল আসে। এসময় মোবাইল পকেট থেকে বের করতেই ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে এসে মোবাইল নিয়ে চলে যায়।’
এসআই লিমন বলেন, ‘আমি এক ছিনতাইকারীকে গত চার মাসে তিনবার গ্রেফতার করেছি। এসময়ের মধ্যে তিনি আরও দুইবার গ্রেফতার হয়েছেন। চার মাসের মধ্যে যদি এক ছিনতাইকারীকে পাঁচবার গ্রেফতার করতে হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে কীভাবে?’
নগরবাসী জানান, বাসা থেকে বের হলে চুরি-ছিনতাই হতে পারে এমন আতঙ্ক নিয়ে তাদের বের হতে হয়। দিনে ছিনতাই সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে উৎপাত বেড়ে যায়। নানা কায়দায় পথরোধ করে নিমিষেই সবকিছু ছিনতাই করে সটকে পড়েন তারা।
বাঘমারা এলাকার বাসিন্দা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘হঠাৎ করে চুরি-ছিনতাই বেড়ে গেছে। আমরা শুনছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। তবে চুরি ছিনতাইতো বন্ধ হচ্ছে না। আরও জোড়ালো অভিযান চালানো প্রয়োজন।’
আকুয়া মাদরাসা কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শনিবার স্ত্রীকে নিয়ে কেনাকাটা করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রিকশায় করে বাসায় ফিরছিলাম। কাছাকাছি আসতেই দুই মোটরসাইকেলে চারজন ছিনতাইকারী এসে চাকুর ভয় দেখিয়ে দুটি মোবাইলসহ নগদ কিছু টাকা নিয়ে গেছে।’
ময়মনসিংহ জজ আদালতের আইনজীবী রুবেল হাসানের মোটরসাইকেল সম্প্রতি আদালত চত্বর থেকে চুরি হয়ে যায়। চুরির দৃশ্য ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়।
রুবেল হাসান বলেন, ‘গত ৯ ফেব্রুয়ারি আদালত চত্বরে মোটরসাইকেলটি রেখেছিলাম। হঠাৎ মুখে মাস্ক পরে এক যুবক এসে এদিক-সেদিক তাকিয়ে নিমিষেই মোটরসাইকেলটি নিয়ে চলে যায়।’