সাতকানিয়ায় ডাকাত সন্দেহে ‘গণপিটুনিতে’ নিহত দুজনকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে জামায়াত ইসলামী। সংগঠনটির অভিযোগ, তাদেরকে ‘পরিকল্পিতভাবে’ হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা হলেন- মো. নেজাম উদ্দিন ও আবু সালেক।
গতকাল সোমবার রাতে কাঞ্চনার পাশে ছনখোলা চূড়ামনি গ্রামে ‘ডাকাত সন্দেহে’ দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করার কথা জানিয়েছিল পুলিশ।
সাতকানিয়া থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম বলেছিলেন, নিহতরা সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ছনখোলা চূড়ামনি গ্রামে গেলে মাইকে ডাকাত ঘোষণা দেওয়া হয়। এলাকাবাসী তাদের ঘিরে গণপিটুনি দিলে দুজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের একজনের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ছয়টি ব্যবহৃত গুলির খোসা পাওয়া গেছে বলেও জানান ওসি।
নিহত নেজাম ও সালেককে নিজেদের কর্মী দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামী সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের সেক্রেটারি জায়েদ হোসেন।
তিনি বলেন, নিহত দুজনই কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী। তাদের পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তাদের সালিশী বিচারের নামে ‘ফন্দি’ করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে মারধর করে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর মাইকে ডাকাত হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্টদের চক্রান্তে জেনেশুনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটনানো হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা কাউকে সেখানে যেতে দেয়নি। সড়কে গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছিল।
অপরদিকে স্থানীয়রা বলছেন, বিগত সরকারের সময়ে তারা এলাকা ছাড়া ছিলেন। ৫ অগাস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে তারা এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সনতু বলেন, রাতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। শুনেছি কিছু সশস্ত্র যুবক সেখানে গিয়েছিল। তারা সেখানে ফায়ার করছে। সেখান থেকে ৯৯৯ এ সংবাদ দেওয়া হয়। নিহতদের মধ্যে সালেকের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা ও বিভিন্ন ঘটনার পাঁচটি মামলা আছে। আরেকজনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, যে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি থানা থেকে লুট করা অস্ত্র বলে আমরা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছি। সেটি খতিয়ে দেখার জন্য আমরা পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়েছি। কোন ইউনিটের অস্ত্র তখন তা জানা যাবে।