গাজীপুরের টঙ্গীতে এক তরুণী (১৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি করায় দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে টঙ্গীর মরকুন মাষ্টারপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত কেরামত আলীর ছেলে মো.মাসুম (৩৬) ও নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার নীলক্ষা গ্রামের হারিজ মিয়ার ছেলে সজিব মিয়া (২৫)। ঘটনায় জড়িত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয় নগর থানার কচুয়ামুড়া গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে আবু বক্কর(২৬) নামে অপর এক অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা ওই তরুণী টঙ্গীর মাস্টারপাড়া এলাকায় আকিজ বেকার্স লিমিটেড নামক কারখানায় কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই তরুণী তার সহকর্মীকে নিয়ে কারখানায় কাজ যোগ দিতে বাসা থেকে বের হন। এসময় ওই তিন যুবক তাদের গতিরোধ করে তরুণীর সহকর্মীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির নির্জন কক্ষে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় অভিযুক্তরা তাদের মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও করে রাখে।
এরপর নির্যাতিতা ওই নারীকে ধর্ষণের ধারনকৃত ভিডিও দেখিয়ে দশ হাজার টাকা দাবি করে ছেড়ে দেন তারা। ঘটনার একদিন পর গত শুক্রবার রাতে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী তরুণী।
ঘটনার পর নির্যাতিতা ওই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপ পরিদর্শক উৎপল কুমার বলেন, ভুক্তভোগী তরুণী অভিযুক্তদের নাম পরিচয় জানতেন না। অজ্ঞাত তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত মাসুমকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর মাসুম দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ ও টাকা দাবীর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।