মাদারীপুর সদরের খোয়াজপুরে অবৈধ বালু ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারের বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই ভাইসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- খোয়াজপুর গ্রামের আজিবুর সরদারের দুই ছেলে সাইফুল ইসলাম ও আতাউর সরদার এবং একই গ্রামের মুজাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (১৭)।
হামলার ঘটনার সময় নিহতদের বাড়ি ঘরেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার খোয়াজপুরে কীর্তিনাশা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল সরদার। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব হয় একই এলাকার শাজাহান খানের (শাজাহান মোহরী) সঙ্গে। এরই জেরে খোয়াজপুর সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সামনে একা পেয়ে সাইফুলের ওপর হামলা চালায় শাজাহানের লোকজন। খবর পেয়ে সাইফুলের দুই ভাই অলিল ও আতাউরসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। পরে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে নিজেদের আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন সাইফুল ও তার ভাই আতাউর। এ সময় মসজিদের ভেতরে ঢুকেই তাদের দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে হামলাকারীরা।
কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয় তাদের আরেক ভাই অলিল সরদারসহ তাদের পক্ষের পলাশ সরদার (১৭) ও তাজেল হাওলাদারকে (১৮)। এ ঘটনা ৪ নারীসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পলাশ সরদার, অলিল সরদার ও আজিজুল হাওলাদারের ছেলে তাজেল হাওলাদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে পলাশ সরদারের মৃত্যু হয়।
হতাহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই জনকে আটক করেছে। সংঘর্ষের সময়ে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা জানিয়েছেন, এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাসদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।