আদর্শ ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রশিবিরের গৌরনদী উপজেলা শাখার ‘সাথী’ ও উপজেলা সেক্রেটারি মাইনুল ইসলাম পলাশকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বরিশাল জেলার ফেসবুকে পেইজে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মো. মাইনুল ইসলাম পলাশ ফকির (২৬) ও এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার নলচিড়ার ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে এক সৌদি প্রবাসীর বসতঘর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের আদর্শ, শৃঙ্খলা ও ইসলামী নৈতিকতা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার অভিযোগে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার 'সাথী' ও উপজেলা সেক্রেটারি মাইনুল ইসলাম পলাশকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার (বাতিল) করা হয়েছে।
শিবির জানিয়েছে, ‘গৌরনদী উপজেলার উক্ত ঘটনা জানার পর সাথে সাথেই মাইনুল ইসলাম পলাশের সাংগঠনিক সাথী পদ ও দায়িত্ব মুলতবি করা হয় এবং ছাত্রশিবিরের বরিশাল জেলা সেক্রেটারির নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, মাইনুলের বক্তব্য নিতে না পারলেও (পুলিশ হেফাজতে থাকায়) অন্যান্য সাক্ষ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এরপর জরুরি দায়িত্বশীল মিটিং এ সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সংগঠন থেকে বহিস্কার (বাতিল) করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, বদরপুর গ্রামের মসজিদের পাশের বাড়ির এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে পলাশ ফকির। শুক্রবার ভোরে প্রবাসীর ঘরে গিয়ে তার স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। বিষয়টি টের পেয়ে গ্রামবাসী তাদের আটক করে। পরে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুইজনকে উদ্ধার করে।
গৌরনদী উপজেলা জামায়াত আমির মাওলানা আল আমিন বলেন, এক বছর পূর্বে গৌরনদী উপজেলা শিবিরের সভাপতি ছিল। অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার পর তার সাথে সম্পর্ক ছেদ করা হয়েছে। এরপর তার কোনো খোঁজ আমাদের কাছে ছিল না। শুক্রবার শুনতে পেয়েছি বদরপুরে আবারও সে একইরকম ঘটনায় আটক হয়েছে।