টর্নেডোর তাণ্ডবে নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩৪ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ১২ জনই যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। রোববার (১৬ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের ওপর দিয়ে ভয়াবহ টর্নেডো বয়ে যায়।
অসংখ্য ঘরবাড়ি ভেসে গেছে এবং গাড়ি উল্টে গেছে। মিসৌরির পাশাপাশি কানসাস অঙ্গরাজ্যে কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছেন। ধূলিঝড়ের কারণে সেখানে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে অর্ধশতাধিক গাড়ি।
স্থানীয় সময় রোববার সকালে মিশিগান, মিসৌরি এবং ইলিনয়সহ সাতটি অঙ্গরাজ্যের আড়াই লাখ ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। অন্যদিকে মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে ঝড়ের কবলে ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর টেট রিভস।
ঝড়ের কবলে আরকানসাসে তিনজনের মৃত্যু এবং ২৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ওকলাহোমা ও টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে একজন করে নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল জুড়ে তীব্র আবহাওয়া অব্যাহত থাকায় মধ্য মিসিসিপি, পূর্ব লুইসিয়ানা এবং পশ্চিম টেনেসির পাশাপাশি আলাবামা এবং আরকানসাসের কিছু অংশে আকস্মিক বন্যা এবং বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অবশ্য আবহাওয়া নিয়ে উদ্বেগ এখনই কাটছে না যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মিসিসিপি, টেনিসিসহ মধ্য উপসাগর উপকূলবর্তী অঙ্গরাজ্যগুলোতে আরও বেশ কয়েকটি টর্নেডো হতে পারে।
আর্দ্র ও উষ্ণ বাতাস ওপরে উঠলে টর্নেডো তৈরি হয়, যা ঠান্ডা বাতাসের সাথে মিশে বজ্রপাতের সৃষ্টি করে। বিভিন্ন দিক থেকে প্রবাহিত বাতাস ঘূর্ণি তৈরি করে যা ওপরের দিকে চলে যায়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ওকলাহোমা, কানসাসে মাঝে-মধ্যেই আছড়ে পড়ে টর্নেডো। মূলত বছরের মে মাস থেকে জুন মাসের মধ্যেই হয় এই ঝড়।