বরগুনার আমতলীতে ইসমাইল শাহ মাজারে বাৎসরিক ওরশ চলাকালে হামলা ও আগুন দেয়া হয়েছে। এতে মাজারের ভিতরের সামিয়ানা ও দুইটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
হামলার ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় রবিবার রাত সোয়া ১২ টার দিকে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে তিনটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, মাজারের ২৮তম ওরশ রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়। রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক এসে মাজার পুজা ও গানবাজনা বন্ধ করতে বলেন।
এসময় মাজারের খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরশ বন্ধে অপরগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্য দ্বন্দ্ব হয়। একপর্যায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে মাজার ভাংচুর করে এবং আগুন দেয়।
আহতরা হলেন- সোলায়মান (৩৮), রেজাউল (১৮), বাদল মৃধা (৪০), দুলাল মৃধা (৪২), আবু বকর (২৯), আবুল হোসেন (২৮), আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৮), মোঃ মামুন (৪৩), আবুল কালাম (৪২), জোবায়ের (১৯) ও ফজলুল করিম (২৭) সহ আরও কয়েকজন। গুরুতর আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মাজারের খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক লাঠি নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে মাজারে হামলা চালায় এবং আগুন দেয়। তারা মাজারে আসা ভক্তবৃন্দকে মারধর ও মাজারের বাক্সে থাকা টাকা লুট করেছে।
অপরদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমতলী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদ বলেন, মাওলানা ওমর ফারুকসহ বেশ কিছু সমর্থক গিয়ে মাজারে খাদেম অ্যাড, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে পবিত্র রমজান মাসে মাজার পুজা ও গানবাজনা করে। কিন্তু তিনি তা মানতে অস্বীকৃতি জানান এবং তার ভক্তবৃন্দ ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদীর গায়ে হাত তোলে। এতে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে মাজার ভাংচুর করে আগুন দিয়েছে।