শেরপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত শালবন পরিদর্শন করেছে বনবিভাগের তদন্ত কমিটি।
বুধবার দুপুরে তারা ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া রেঞ্জ এলাকার পরিদর্শন করেছেন।
এসময় কমিটির সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত বনভূমি ও গাছপালার অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত অবস্থা যাচাই করেন।
এর আগে তদন্ত কমিটির সদস্যরা গজনী এলাকায় বনরাণী রিসোর্টে স্থানীয় বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ইআরটি সদস্য, বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠককালে তদন্ত কমিটি শালবনে আগুন লাগার কারণ ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে সবার মতামত নেন।
গত ৩ থেকে ৫ মার্চ ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কার্যালয়ের আওতাধীন শেরপুরে ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া রেঞ্জ এলাকার ৯ হেক্টর বনভূমির অন্তত ১০-১২টি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বিচ্ছিন্নভাবে বনবিভাগের অন্তত ৩ একর বনভূমি এবং ব্যক্তিগত মালিকানাধীন আরও অন্তত ২ একর শালবনের গাছপালা, লতাগুল্ম ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
এ ঘটনায় বন অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বন সংরক্ষক এএসএম জহির উদ্দিন আকনের সভাপতিত্বে ৫ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটিতে সদস্যসচিব হিসেবে আছেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ।
এছাড়া তদন্ত কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেন, প্রতিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য গবেষক পাভেল পার্থ, আইইউসিএন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারোয়ার আলম ও আরণ্যক ফাউন্ডেশনের পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য বিশেষজ্ঞ বখতিয়ার নূর সিদ্দিকী।
তদন্ত কমিটির প্রধান জহির উদ্দিন আকন বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলাম। অংশীজন, স্থানীয় অদিবাসী, বনবিভাগের লোকজন এবং মিডিয়ার লোকদের সঙ্গে কথা বলেছি। শিগগিরই আমরা রাংটিয়া রেঞ্জের শালবনে অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বন ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, নিরসন ও ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ সম্পর্কে আমাদের সুপারিশ পেশ করব।”