মুগদা ও খিলগাঁও এলাকায় চার কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসব ঘটনায় দায়ের করা মামলা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে সংশ্লিষ্ট থানার-পুলিশ।
এ বিষয়ে মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল-আমীন জানান, বুধবার (১৯ মার্চ) ইফতারের পর নিজ বাসায় প্রতিবেশী জব্বার (৪০) ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীর পরিবার। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ১৩ বছরের আরেক কিশোরীকে পূর্ব পরিচিত প্রতিবেশী পিন্টু চন্দ্র দাস ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার সময় কিশোরীর বাবা-মা বাইরে ছিলেন।
মুগদা থানার উপপরিদর্শক আল-আমিন বলেন, গ্রেফতারকৃত দুই জন দায় স্বীকার করেছে। আজ তাদের আদালতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ১৫ বছরের এক কিশোরীকে সিয়াম (১৮) নামে এক যুবক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় আজ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়াও খিলগাঁওয়ে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। গত ১৫ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। অভিযুক্ত যুবকের নাম আলিফ সিয়াম (২০)।
খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইলিয়াস মাহমুদ বলেন, ছেলেটি ওই কিশোরীর পূর্ব পরিচিত। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে নিজের কাছে নেয় আলিফ। পরে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে ধর্ষণ করে। কিশোরীর পরিবার থানায় অভিযোগ করলে বুধবার (১৯ মার্চ) মামলা হয়।