প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৩ PM আপডেট: ২১.০৩.২০২৫ ১২:২৬ AM
গুলশানে সুমন ওরফে কানা সুমনকে (৩৩) মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ৯টার দিকে গুলশানে পুলিশ প্লাজার পাশে শুটিং ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমন মহাখালী টিভিগেট এলাকায় একটি ইন্টারনেট সংযোগ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তার বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে।
পথচারীরা মুমূর্ষু অবস্থায় সুমনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের সময় দুর্বৃত্তের পরনে সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট ছিল। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
নিহত ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সুমন
গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মারুফ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, যতটুক প্রাথমিকভাবে জানা গেছে নিহত ব্যক্তি পুলিশ প্লাজার উত্তর পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে কয়েকজনের সঙ্গে হঠাৎ ধস্তাধস্তি হয়।
একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তিনি দৌড়ে রাস্তার ওপর চলে যান। তারপরও তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
নিহত সুমনের স্ত্রী মৌসুমি মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি। এক পুলিশ ফোন করে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাচ্ছে। কি হয়েছে বিস্তারিত জানি না। আমার স্বামী ইন্টারনেটের ব্যবসা করত। মহাখালী এলাকায় লাইন সংযোগ দিত। স্থানীয় বিরোধী পক্ষ সেখান থেকে অনেক হয়রানি করে তাঁকে বের করে দিয়েছে। ব্যবসা নিয়ে নিছে তাঁরা। সব লাইনও কেটে দিছে।’
হাসপাতালে নিহত সুমনের স্ত্রীর বড় ভাই মো. বাদশা মিয়া রুবেল জানান, তাঁদের বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায়। সুমন স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েকে নিয়ে মিরপুর ভাষানটেক এলাকায় থাকতেন। মহাখালী টিবি গেট এলাকায় ‘প্রিয়জন’ নামে তাঁর ইন্টারনেট ব্যবসা রয়েছে। আগে মহাখালী টিভি গেট এলাকায় থাকতেন। সুমন বনানী থানা যুবদলের কর্মী ছিলেন বলেও জানান তিনি।
বাদশা মিয়ার দাবি, টিবি গেট এলাকায় একে-৪৭ গ্রুপের রুবেল নামে এক ব্যক্তি ডিশের ব্যবসা করেন। তাঁর সঙ্গেই সুমনের ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। সেই মাঝে মাঝে সুমনকে হত্যার হুমকি দিত। ওই গ্রুপের লোকজন সুমনকে গুলি করে থাকতে পারে।