মাদারীপুর সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাকিল মুন্সীকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন নেতাকর্মীরা।
মাদারীপুর সদর হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে নিহতের বাড়ি নতুন মাদারীপুর এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার রাতে মাদারীপুর সদর উপজেলা শ্রমিক দলের একাংশের সভাপতি শাকিল মুন্সীকে কুপিয়ে হত্যা করে অপর পক্ষের লোকজন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির সমর্থকরা হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় হামলাকারীদের ৪টি ঘর পুড়িয়ে দেন তারা।
সোমবার বিকেলে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে শাকিলের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে হাসপাতাল থেকে শাকিলের মরদেহ নিয়ে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নিহতের স্বজনরা জানান, রোববার রাতে লিটন হাওলাদার, আল-আমিন হাওলাদার, জাহাঙ্গীর হাওলাদার, ওমর হাওলাদার, হাকিম বেপারীসহ বেশ কয়েকজন হামলা করে শাকিলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায় শাকিল।
জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হেমায়েত হোসেন বলেন, শাকিলকে আওয়ামী লীগের দোসররা খুন করেছে। এই হত্যার সাথে লিটন হাওলাদার, আনোয়ার হাওলাদার, আলাউদ্দিন নপ্তী, আকমল হোসেন খান জড়িত।
নিহত শাকিলের ভাই মাদারীপুর পৌর বিএনপির ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হাসান মুন্সি বলেন, আমার ভাই শাকিলকে প্রতিপক্ষ লিটন, আল আমিন,জাহাঙ্গীরসহ বেশ কয়েকজন কুপিয়ে হত্যা করেছে। এরা সবাই আওয়ামী লীগের লোকজন। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, শাকিল মুন্সি নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।