রবিবার ২০ এপ্রিল ২০২৫ ৭ বৈশাখ ১৪৩২
রবিবার ২০ এপ্রিল ২০২৫
স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ-রাষ্ট্রীয় সালাম থেকে বিরত থাকলেন এসপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫, ৮:৫৩ PM
জাতীয় দিবসের কর্মসূচি চলাকালে স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন না করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এহতেশামুল হক।

স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে মহান স্বাধীনতা দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করলেও পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেননি। এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেও তিনি শহীদ মিনারে ফুল দেননি। যদিও তার পাশে থাকা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোছাইন তখন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছিলেন। 

টানা দুটি জাতীয় দিবসে পুলিশের সর্বোচ্চ স্থানীয় কর্মকর্তা হিসেবে পুষ্পস্তবক অর্পণ না করায় সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, কেন তিনি এমনটা করলেন?

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একাধিক রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, একজন প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা হয়ে জাতির গুরুত্বপূর্ণ দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন না করা দুঃখজনক।

জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের আহ্বায়ক ও সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি (সনাক) অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে তাকে রাষ্ট্রের আইন মানতে হবে। ধর্মীয়বোধ থেকে প্রতিবন্ধকতা মনে হলে তার চাকরিতে থাকা উচিত না। রাষ্ট্রের আচার অনুষ্ঠান আইন তাকে মানতে হবে। শুধু তাইনা আমি মনে করি রাষ্ট্রের আইনের প্রতি তার একটা অশ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত। আইন তাকে মানতেই হবে।

জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, চেইন অব কমান্ড অনুযায়ী আমরা পুলিশ সুপারের কমান্ড মানতে বাধ্য। তাই তিনি আমাদেরকে যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা সেভাবে নির্দেশনা পালন করেছি। আমরা রাষ্ট্রীয় সালামে অংশগ্রহণ করেছি। স্যার কেন অংশ গ্রহন করেননি, এটা আমরা কেমন করে বলি।

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রত্যেকেই তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা যথাযথভাবে পালন করা উচিত এবং রাষ্ট্রিয় আচার অনুযায়ী তা তিনি মানতে বাধ্য।

ব্রাহ্মণবাড়িয় জেলা প্রশাসক দিদারুল আলম বলেন, আমি তাকে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর সময় বলে ছিলাম। কিন্ত তিনি উপস্থিত থাকলেও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাননি। আজও একই বিষয় হয়েছে। তিনি উপস্থিত থাকলেও তার দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা রাষ্ট্রীয় সালাম গার্ড অব অনারে অংশগ্রহণ করেন। তিনি পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধাচারে তিনি অংশগ্রহণ করেননি। তবে তিনি একটি শৃঙ্খল বাহিনীর প্রধান হিসেবে এমনটি করতে পারেন না। রাষ্ট্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি বাধ্য। তবে তিনি কেন রাষ্ট্রীয় আচারে অংশগ্রহণ করেন না এটি তিনিই ভালো বলতে পারবেন।

বক্তব্য জানতে চাইলে পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক জানান, অফিসে আসেন। মোবাইলে বলা যাবে না। রোজার মাসের পরে আসেন। চা খেতে খেতে বলা যাবে।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত