পবিত্র রমজান মাসের একটি রাতকে মহান আল্লাহতালা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ করেছেন, এ রাতকে আমরা শবে কদর বলে জানি।
শবে কদরের নিয়ত
অনেকে আরবিতে অথবা বাংলা উচ্চারণ করেও লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ত করে থাকেন। যেমন বাংলায়- ‘হে আল্লাহ, আমি কেবলামুখী হয়ে আপনার সন্তুষ্টির জন্য দুই রাকাত লাইলাতুল কদরের নফল নামাজ পড়ার জন্য নিয়ত করছি- আল্লাহু আকবর’।
আর আরবিতে- ‘নাওয়াইতু আন্ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা’য়ালা রাকআতাই সালাতিল লাইলাতিল কাদ্রি নফ্লে মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি- আল্লাহু আকবর।’
শবে কদরের নামাজ
রাতে দুই রাকাত করে যত সুন্দর করে, ইখলাসের সঙ্গে, খুশু-খুজুসহকারে নফল নামাজ পড়া যায় ততই ভালো। এই রাতে কোরআন তেলাওয়াত করবেন। বেশি বেশি দোয়া-ইস্তেগফার পড়বেন। তওবা করবেন। ২০ রাকআত তারাবি পড়ার পর যত রাকআত ইচ্ছে নফল নামাজ পড়তে পারেন। মাঝ রাত হতে শেষ রাত পর্যন্ত তাহাজ্জুদ পড়তে পারেন। কারণ, তাহাজ্জুদ মহান আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের বড় মাধ্যম। তাই ইসলামে এই নামাজের গুরুত্ব ও মর্যাদা অনেক বেশি।
শবে কদরের দোয়া
আয়েশা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি জানতে পারি লাইলাতুল কদর কোনটি, তাহলে আমি সে রাতে কী বলব?
তিনি বলেন, ‘তুমি বলো, ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﻋَﻔُﻮٌّ ﺗُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻓَﺎﻋْﻒُ ﻋَﻨِّﻲ উচ্চারণ: ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নী’ (আরবি উচ্চারণ দেখে পড়বেন)। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল। ক্ষমা করাটা আপনার পছন্দ। অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫১৩)।
সুতরাং সারাদিন-রাত বেশি বেশি এই দোয়া করবেন। এই দোয়াটি হাঁটা-চলা-শোয়া অবস্থায় করা যায়। শেষ দশকে বেশি বেশি পড়া উচিত।