নেত্রকোণার দুর্গাপুরে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাবাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকার একটি ইট ভাটা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ফারুংপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে অভিযুক্ত বাবা দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিল। গত পাঁচ মাস আগে মেয়ের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঐ দিনের পর আরও একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কথা কারো কাছে বললে পরিবারের সবাইকে খুনের হুমকি দিত অভিযুক্ত। প্রাণভয়ে বিষয়টি কাউকে বলেনি মেয়ে। তবে ঘটনার প্রায় এক মাস পর মেয়ের শরীরের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।
মেয়ে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে বাবা দুর্গাপুর নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায়। পরে কৌশলে মেয়েকে নিয়ে ময়মনসিংহের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে গর্ভপাত ঘটায়। এ ঘটনায় গত ২৫ মার্চ রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সে গাঢাকা দিয়েছিল ময়মনসিংহের ত্রিশালের একটি ইটভাটায়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার নথির বরাতে ওসি বলেন, ১৫ বছর বয়সি মেয়েকে তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। গত পাঁচ মাস আগে মেয়ের গলায় ছুরি ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ওই দিনের পর আরও একাধিকবার নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করেন তিনি।