ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে কক্সবাজারে কেএফসি, পিৎজা হাট ও পানসি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনের প্রতিবাদের পাশাপাশি ফিলিস্তিনদের প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের সুগন্ধা এলাকায় একদল তরুণ এই রেস্তোরাঁগুলোতে ভাঙচুর চালায়।
এর আগে আজ সকাল থেকে জেলার স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এ কর্মসূচি পালন করছে।
মিছিলে থাকা কলেজ শিক্ষার্থী হৃদয় বলেন, আজ থেকে কক্সবাজারে কোনো ইসরায়েলি পণ্য থাকবে না। যেখানে থাকবে সেখানেই হামলা হবে।
আরেক শিক্ষার্থী সুলেমান বলেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের এই প্রতিবাদ। আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অনুরোধ করবো ইসরায়েলকে অর্থ জোগান দেওয়া সব পণ্য বয়কট করেন। এসব অর্থ দিয়ে আমাদের ভাই-বোনদের হত্যা করছে।
কক্সবাজার পিৎজা হাটের ইনচার্জ পারভেজ মিয়া বলেন, “মূলত কেএফসির ওপর মানুষের ক্ষোভ বেশি। তারা হঠাৎ মিছিল থেকে ইট-পাটকেল মারা শুরু করে কেএফসি লক্ষ্য করে। তবে কেএফসি ওপরের ফ্লোরে হওয়ার এগুলো এসে পড়ে পিৎজা হাটে। আমাদের বেশকিছু কাঁচ এবং যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আপাতত রেস্টুরেন্ট বন্ধ রেখেছি।”
কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ বলেন, “রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ডে সেভেন আপের বিজ্ঞাপন ছিল। এই অজুহাতে আমাদের রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হয়। আমরাও তো ফিলিস্তিনকে সাপোর্ট করি। আমাদের বললে, আমরা সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলতাম। কেন রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হল?”
কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে কক্সবাজারে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালিত হয়। মিছিলটি সুগন্ধা পৌঁছালে পেপসি ও কোকাকোলার সাইনবোর্ড দেখে বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর চালায়।