নড়াইলের নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের আইচপাড়া গ্রামের আব্দুল আহাদ মল্লিক হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ইলিয়াস সরদার। সে খুলনা জেলার তেরখাদা থানার পারখালি গ্রামের সবুর সরদারের ছেলে।
আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত ইলিয়াস সরদার আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম বাংলাদেশ বুলেটিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৭ আগস্ট রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে কালিয়া উপজেলার বড়নাল মাদরাসার কাছে এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা নড়াগাতি থানার আইচপাড়া গ্রামের আব্দুল আহাদ মল্লিককে কুপিয়ে জখম করে। এনিয়ে মামলার পর আসামিদের জেল-জরিমানা হয়। এ ঘটনায় বিগত ২০১৮ সালের ৪ জুলাই আপিল করে জামিনে বাড়িতে আসে আসামিরা। পরে এদিন রাতে ইলিয়াছ সরদার আব্দুল আহাদ মল্লিককে ফোন করে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে ঘুম থেকে ডেকে কথা বলার জন্য বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। এরপরে তিনি বাড়িতে না ফিরলে পরেরদিন ৫ জুলাই সকালে পরিবারের লোকজন নড়াগাতি থানায় অভিযোগ করতে যায়। থানায় থাকা অবস্থায় খবর পান একটি রক্তাক্ত মরদেহ খামার গ্রামের একটি পাটক্ষেতে পড়ে আছে।
খবর পেয়ে স্বজনরা ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্বজনরা তার মরদেহ শনাক্ত করেন। এসময় মরদেহটির শরীলে ধারালো অস্ত্রের কোপ ও গলায় রশি পেচানো অবস্থায় দেখা যায়। এ ঘটনার দুইদিন পর ৭ জুলাই নিহতের ভাই আবুল বাসার মল্লিক বাদী হয়ে আইচপাড়া গ্রামের জুয়েল মল্লিক, সোহেল মল্লিক, সাজেল মল্লিক, টুয়েল মল্লিক এবং পাশ্ববর্তী খুলনা জেলার তেরখাদা থানার পারখালি গ্রামের ইলিয়াস সরদারসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ ও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার রায়ের ধার্য দিনে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রামণিত হওয়ায় আদালত ইলিয়াছ সরকারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমান করেন। এছাড়া বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।