জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে চতুর্থ শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৬০ বছরের বৃদ্ধার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় উপজেলার বিনাই মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার আব্দুল কুদ্দুস (৬০) পার্শ্ববর্তী কালাই উপজেলার আতাহার বামন গ্রামের জাকিরের ছেলে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণচেষ্টা মামলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম শিশুটির বাবা-মা রাজধানী ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করায় তার বৃদ্ধ দাদা-দাদির কাছে থাকতেন শিশুটি। এছাড়া ওই শিশুটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল কুদ্দুস (৬০) গত ১ বছর ধরে উপজেলার বিনাই মধ্যপাড়া গ্রামে এসে কৃষিক্ষেতে দিনমজুরের কাজ করতেন। ওই পাড়ার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে শিশুটিকে একা পেয়ে মুখ চেপে ওই বাড়ির ভেতরে নিয়ে দরজা আটকিয়ে দেয়। প্রতিবেশীর স্ত্রী এমন দৃশ্য দেখতে পেয়ে দৌড়ে গিয়ে আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনে। জনতা দরজায় লাথি মারলে ধর্ষক শিশুটিকে দোতলার ছাদ থেকে ফেলে দেয়। এদিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাকে আটক করে।
বাড়ির মালিক প্রবাসী কাবিলের যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি প্রবাসে থাকি। নিজ গ্রামে বসবাসের জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করছি। সেটি আমার স্ত্রী দেখাশোনা করে। বাড়িটি এখনো পুনঃনির্মাণ করতে পারিনি। আজকে আমার স্ত্রীর মারফত ঘটনাটি জানতে পারলাম। আমাদের গ্রামে একজন দিনমজুর কাজ করে। ওই লোকটি বাড়িটি ফাঁকা পেয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অপরাধী যেই হোক আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই৷
ক্ষেতলাল থানার ওসি বীরেন্দ্র সিং বলেন, ৯৯৯ এ খবর আসে বিনাই গ্রামে একজন শিশুকে ধর্ষণচেষ্টায় একজনকে স্থানীয় জনতা আটক করে রেখেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা অভিযুক্তকে আটক করি ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। এ ঘটনায় একজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টায় মামলা হয়েছে।