মডেল মেঘনা আলমকে ‘দরজা ভেঙে বাসা থেকে অপহরণের’ যে অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে, সেটি ‘সঠিক নয়’ বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পুলিশের ভাষ্য- ‘যথাযথ আইন মেনেই তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে’।
আনুষ্ঠানিকভাবে মেঘনার বিরুদ্ধে অভিযোগ সুনির্দিষ্ট না করলেও আজ শুক্রবার পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, “সৌদি দূতাবাসের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেঘনাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।”
আজ (শুক্রবার) দুপুরে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্ক মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা করা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মেঘনা আলমকে সকল আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাকে অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তথাপি আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার তার রয়েছে।
সেই রাতে যা ঘটেছিল
এর আগে গত বুধবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে মেঘনা আলমকে আটক করা হয়। আটকের আগে ফেইসবুক লাইভে এসে বুধবার রাতে বাসার ‘দরজা ভেঙে পুলিশ পরচয়ধারীরা’ ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা ওই লাইভ এরপর তার আইডি থেকে ডিলিট হয়ে যায়। তবে এর আগেই ফেসবুকে তা ছড়িয়ে পড়ে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দিনভর মেঘনার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার খোঁজ না পেয়ে স্বজন ও বন্ধুরা ফেসবুকে তাকে অপহরণ ও গুম করে রাখার অভিযোগ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাটারা থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বুধবার মেঘনা আলমকে আটকের জন্য বসুন্ধরা এলাকায় এসেছিলেন। সঙ্গে ভাটারা থানার পুলিশ সদস্যরাও ছিলেন। প্রথমে তিনি দরজা খুলতে চাননি। পরে তাকে আটক করে মিন্টো রোডে নিয়ে যাওয়া হয়।”
এরপর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাবেক এই মিস আর্থ বাংলাদেশকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে উপস্থাপন করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ডিবির আবেদনের প্রেক্ষিতে মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন ভাটারা থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জাকির হোসেন।