নরসিংদীর শিবপুরে চতুর্থ শ্রেণির মাদরাসা পড়ুয়া এক ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগে নারায়ণ চন্দ্র পাল (৫৩) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে তার মেয়ের শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং থানার কংশনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার টান কোন্দারপাড়া এলাকায় আম কুড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই মাদরাসাছাত্রী। ঘটনার পরদিন বুধবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত নারায়ণের বাড়ি ভাঙচুর ও পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার রাতে অগ্নিসংযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত নারায়ণ পালকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ এর নরসিংদী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার ও উপপরিচালক মেজর সাদমান ইবনে আলম।
ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, ধর্ষণের শিকার ছাত্রী নিজ এলাকায় একটি মহিলা মাদরাসায় আবাসিক হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করত। ঈদের ছুটিতে নিজবাড়িতে অবস্থান করছিল সে। অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র পাল ওই শিক্ষার্থীর বাবার সমবয়সী ও প্রতিবেশী।
গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পাশে জনৈক লিপু মিয়ার আমগাছ তলায় আম কুড়াতে যায় ওই ছাত্রী। ওই সময় নারায়ণ ধান ক্ষেতে কাজ করছিলেন। তিনি ওই ছাত্রীকে ডেকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন। পরে জোরপূর্বক ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এসময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে তার দুই চাচি এগিয়ে গেলে নারায়ণ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ও পরবর্তীতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান।
শিবপুর মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসাইন বলেন, অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র পাল পেশায় মাটির তৈজসপত্র তৈরি করে বিক্রি ও কৃষি কাজ করেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন নারায়ণ। এদিকে ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্তের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন স্থানীয়রা।