আইনশৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে বড় বড় ইয়াবার চালান এনে শাহপরীর দ্বীপসহ কক্সবাজার, চট্টগ্রামে পাচার করে আসছেন টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান ওরফে মন্নান মেম্বার।
গত ডিসেম্বরে র্যাব-১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্পের একটি দল মাদকের চালান পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ মাঝের পাড়ায় মাদকবিরোধী অভিযানে যায়। অভিযানকালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে স্থানীয় মৃত মোছা আকবর এর ছেলে আবুল হোছন (৫৪), তার ছেলে মো. মোস্তাক আহমদ (২১) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও ইয়াবা চালানের মূল হোতা ইউপি সদস্য মন্নান মেম্বার কৌশলে পালিয়ে যান। সেই ১ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবার মালিক হিসেবে পলাতক আসামি করে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন।
সূত্রে জানা যায়, মামলা দায়ের দীর্ঘদিন পর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলার চার্জশিট থেকে নিজের নাম কেটে নেওয়ায় মান্নান। অভিযোগ উঠেছে এ মামলার আসামি নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেন এসআই অনুপ কুমার ধর। জনশ্রুতি আছে বাবা ছেলে কারাগারে গেলেও দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে আব্দুল মান্নান। উখিয়া টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি ব্যবসায়িক পাটনার হিসেবেও পরিচিত তিনি। স্থানীয়রা বলছেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করলে বের হবে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি সত্যি মাদক নির্মূল করতে চাই তাহলে শুধু বাহক ধরে জেলে দিলে হবে না। গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান এসব অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে অস্বীকার করে বলেন, আমি সব দিক দিয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি তো একজন মেম্বার, ইয়াবা ব্যবসায়িদের থেকে কমিশন নেওয়ার মতো এতো বড় নেতা আমি হয়নি। আমি পূর্বে অনেক নির্যাতিত। এখন একটু ফোকাস হচ্ছি তাই ষড়যন্ত্র লেগেই আছে।
এ বিষয় টেকনাফ মডেল থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি গিয়াস উদ্দিন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এসব বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন তবে এসআই অনুপ কুমার ধরের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
পরে এসব বিষয়ে জানতে এসআই অনুপ কুমার ধরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এসব অভিযোগই শেষ নয় তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অনিয়ম এবং মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ। সিন্ডিকেট পরিচালনা করে হয়ে শূন্য থেকে কোটিপতি। এদিকে সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান না থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতে গোপনে লাখ টাকার মিশন নেমেছে মান্নান।