ওয়াকফ বিল বাতিলের দাবিতে ভারতের বিভিন্ন স্থানে চলছে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতা। অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি চালাচ্ছে পুলিশ। একই অবস্থা মুর্শিদাবাদে।
শুক্রবার ( ১১ এপ্রিল) দুপুর থেকে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে, যখন একাধিক সংগঠনের ডাকে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় সড়কে অবরোধ করার চেষ্টা করে। অবস্থা সামাল দিতে সুতিতে ভারতীয় সংহিতার ১৬৩ নম্বর ধারা জারি হয়েছে। কিন্তু তা অমান্য করেই হচ্ছে জমায়েত। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ট্রেন চলাচল।
শনিবার ( ১২ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল মুর্শিদাবাদে। তবে বেলা গড়াতেই ফের হিংসা ছড়িয়েছে সেখানে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এদিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
গুজব ছড়ালে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। ইতিমধ্যেই ১১৮ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানান, আরও বাহিনী পাঠানো হয়েছে ওই এলাকায়। তবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলেই খবর। এখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে।
সহিংসতার ঘটনা নিয়ে বিবৃতি জারি করেছে রাজ্য পুলিশ। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি বর্তমানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী জনতাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় সড়কে যানচলাচল আবার স্বাভাবিক হয়েছে।