বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং টেকসই করতে এবার সরাসরি কথা বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি। বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘদিনের নানা জটিলতা ও প্রশাসনিক দ্বৈততা দূর করার লক্ষ্যে তিনি সুপ্রিম কোর্টের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জোর দাবি তুলেছেন। তার মতে, এ পরিবর্তন না হলে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার কার্যক্রম সফল হবে না।
রোববার (১৩ এপ্রিল) খুলনা জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ এসব কথা বলেন। তিনি জানান, বর্তমানে বিচার বিভাগ একটি দ্বৈত প্রশাসনিক কাঠামোর আওতায় পরিচালিত হচ্ছে, যা স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতায় বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব সচিবালয় না থাকায় অনেক সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন হয় না, যা বিচারপ্রার্থী নাগরিকদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
তিনি আরও জানান, বিচার বিভাগকে আধুনিক, দায়িত্বশীল ও টেকসই করতে বর্তমানে একটি ১২ দফা সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। এ পরিকল্পনা শেষ হলে দেশের বিচার ব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসবে। সংস্কারের মাধ্যমে আদালতের ভিতরে ও বাইরে যেসব অনিয়ম, দীর্ঘসূত্রতা বা জবাবদিহিহীনতা রয়েছে, তা দূর হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, এই সংস্কার প্রক্রিয়া শুধু বিচারক বা প্রশাসনের দায়িত্ব নয়—এতে বার, বেঞ্চ এবং গণমাধ্যমের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার আন্তরিক অংশগ্রহণই পারে জনগণের আস্থা অর্জন করতে এবং একটি শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও ন্যায়ভিত্তিক বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। দেশের বিচারব্যবস্থায় স্থিতি আনতে এখনই সময় এই কাঠামোগত পরিবর্তনের।