আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বাঙালির আবহমান কালের ঐতিহ্য বৈশাখী মেলা। বাংলা নব বর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ থেকেই শুরু হয় এ মেলা। মেলায় পাঠাতে হবে হরেক রকমের খেলনা থেকে শুরু করে হরেক রকমের পন্য। বৈশাখকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করতেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সুন্দরদী (বেকীনগর) মৃৎপল্লীর পাল সম্প্রদায়ের সকল বয়সের নারী-পুরুষ- শিশুর। পুরো গ্রাম জুড়ে চলতো বাহারী সব উপকরণ তৈরির মহা উৎসব।
এ বছর অধিকাংশ স্থানে বৈশাখী না বসায় নেই তাদের কোন কর্মযজ্ঞ। অলস সময় পার করছেন পাল পাড়ার বাসিন্দারা। সুন্দরদী গ্রামের পাল সম্প্রদায়ের প্রবীণব্যক্তিত্ব জীবন কৃষ্ণ পাল বলেন, ‘এক সময় মৃৎ শিল্পের জন্য এ গ্রামের সুখ্যাতি যুগ-যুগান্তরের। বলা চলে প্রায় দুই শত বছরেরও অধিক সময়ের। এ গ্রামের পাল বংশের লোকদের আদি পেশা মাটি দিয়ে নানা রকমের খেলনা, শো-পিচ, ঘর গৃহস্তালির বিভিন্ন তৈজষপত্র, টালি, মটকা, হাড়ি, পাতিল, প্রতিমা সহ বিভিন্ন প্রকারের মৃৎপণ্য বানানো। বংশ পরম্পরায় এ কাজ করে আসছে কুমার বা পালেরা। বৈশাখ মেলা ঘিরে মেলার জন্য তৈরি করতাম নানা ধরনের খেলনাসহ আধুনিক অনেক সো পিছ। কয়েক বছর যাবত আশ পাশ এলাকায় বৈশাখী মেলা না বসায় আমাদের তৈরি তৈজষ পত্র বিক্রি করতে পারেনি।
তাই এ বছর কোন প্রকার খেলার মালামাল তৈরি করেনি। এজন্য-ই অলস সময় পার করছেন ওই পাল পাড়ার মৃৎ শিল্পীর কারিগরা।
রনো পাল জানান,বৈশাখী মেলার জন্য ২ থেকে ৩ মাস আগ থেকে খেলানা সহ বিভিন্ন তৈজসপত্র বানাতে ব্যস্ত সময় পার করতো এ পেশার সাথে জরিত সকল বয়সের নারী-পুরুষ-শিশুরা। সময়ের পরিবর্তন, চাহিদা এবং দেশের পরিস্থিতির কারণে এবার ভাটা পরেছে ঐতিহ্যে।