উত্তরা এলাকায় প্রকাশ্য সড়ক থেকে এক ব্যক্তিকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার রাতেই ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী নোমান আহমেদ নাফিজ।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনার সময় ছিল শুক্রবার দুপুর পৌনে ৩টা এবং স্থান উত্তরা বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশের সড়ক। সেখানে হেঁটে যাওয়া এক ব্যক্তিকে জবরদস্তি করে একটি সাদা প্রাইভেট কারে তোলে তিনজন ব্যক্তি। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে, দুর্বৃত্তরা তাদের দিকেও চড়াও হয়। এরপর দ্রুতগতিতে গাড়িটি বিমানবন্দরের দিকে চলে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, কালো মাস্ক পরিহিত এক ব্যক্তিকে দুজন লোক জোর করে একটি সাদা প্রাইভেট কারে তুলছেন। পাশে থাকা আরও একজন এসে যোগ দেন, এবং তিনজন মিলে ধাক্কা দিয়ে তাকে গাড়িতে তোলেন। ঘটনা চলাকালীন কেউ একজন গোপনে ভিডিও ধারণ করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মহিদুল ইসলাম জানান, ভিডিওটি তারা পেয়েছেন তবে ঘটনার তারিখ ও বিস্তারিত এখনো নিশ্চিত নয়। বিভাগীয় সব অফিসারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
ভিডিওধারী নাফিজ জানান, ঘটনার পরপরই তিনি আজমপুর থানায় যান। তবে সেখানেও পুলিশের কাছ থেকে তেমন সহায়তা পাননি।
তিনি বলেন, “পুলিশ শুধু নাম ও মোবাইল নম্বর নিয়েছে। ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পাঠালেও এখনো তারা সিন করেনি।”
নাফিজ আরও জানান, তিনিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং আশপাশের লোকজনের সঙ্গে মিলে ভুক্তভোগীকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। কিন্তু অভিযুক্তরা আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করলে তিনি নিরাপদ দূরত্বে থেকে ভিডিও করেন।
গাড়ির নম্বর সেসময় দেখতে না পেলেও পরবর্তীতে তিনি আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ঘেঁটে নম্বর সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
উত্তরা পূর্ব থানার ওসি শামীম আহমেদ বলেন, “আমরা ওই সময়ে সাদা পোশাকে কোনো অভিযান চালাইনি, কাউকে গ্রেপ্তারও করিনি। আমাদের সব অভিযান ইউনিফর্ম পরিহিত সদস্যরাই করে থাকেন।”