বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার বিচার দাবি করে পরবর্তীকালে এমন কোনও ঘটনা ঘটলে ক্ষমা না করার হুঁশিয়ারি দিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি গণেশচন্দ্র রায় সাহস বলেন, আমরা বাংলা সিনেমার শাবানা না। আমরা তার মতো ক্ষমা করে দেবো না। আমাদেরও রক্ত গরম হয়।
দুপুরে পারভেজ হত্যার বিচার দাবিতে ঢাবি ছাত্রদল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাহিদুল ইসলাম পারভেজ ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী এবং সে গণঅভ্যুত্থানের নায়ক ছিল। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এরপর যদি ছাত্রদলের কোনও নেতাকর্মীর ওপর হামলা হয়, তাহলে আমরা বাংলা সিনেমার শাবানার মতো ক্ষমা করে দেবো না। দেশনেতা তারেক রহমানের ভাষ্য অনুযায়ী, আমরা ৩১ দফা পূরণের মাধ্যমে আমাদের প্রতিশোধ নেবো।
মানববন্ধনে সাহস বলেন, বৈষম্যবিরোধী একটি সামাজিক সংগঠন। আমরা দলমত নির্বিশেষে সবাই এখানে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন এই ব্যানার কলুষিত করছে কারা, এই প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি। এই ব্যানারকে কাজে লাগিয়ে যারা অগণতান্ত্রিক আচরণ করে যাচ্ছে, তাদের আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, এখন হলগুলোতে ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘাঁটি গেড়ে বসেছে। ৭১ এর পরাজিত শক্তি এবং ২৪ এর পরাজিত শক্তিরা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ক্যাম্পাসে লাগানো সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল, কিন্তু আমরা সহিষ্ণুতা দেখিয়েছিলা। এখন আমরা নামে বেনামে অনেকের ব্যানার দেখে যাচ্ছি। তাছাড়া, এফ রহমান হলে আমাদের মুড়ি পার্টিকে আপনারা গেস্টরুম বলে চালিয়ে দিয়েছিলেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্ট ধারণ করেই আমরা কর্মসূচি গ্রহণ ও পালন করে থাকি। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ছাত্রদল যে পরিমাণ সহিষ্ণুতা দেখিয়েছি তা নজিরবিহীন। কেউ আমাদের খুব বড় কোনও ভুল ধরতে পারছে না।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ব্যানারের মাধ্যমে ছাত্রলীগকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে। কেউ যদি এই ব্যানারকে ব্যবহার করে ছাত্রলীগকে পুনর্বাসন করে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কিন্তু কঠোর অবস্থান নিতে ভুল করবো না।
ছাত্রদলের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্রনেতাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সন্ত্রাসের রাজত্বকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা চলছে। আমাদের উদারতা, নমনীয়তা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতাকে যদি কেউ সহজ সরলভাবে গ্রহণ করেন, তাহলে আপনারা ভুল ভাবছেন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কোনও গুপ্ত সংগঠন না, গুপ্ত রাজনীতিতে বিশ্বাসী না।