সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার নথিপত্র ডিবি হেফাজতে পুড়ে যাওয়ার তথ্যটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ডিএমপি।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
এর আগে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ডিবি অফিসে দেওয়া আগুনে অনেক রেকর্ড পুড়ে গেছে বলে হাইকোর্টকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। আজ সকালে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আরশাদুর রউফ এ তথ্য দেন। তবে তদন্তের গোপনীয়তার স্বার্থে অগ্রগতি আদালতে উপস্থাপন করেন তিনি।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষে আরশাদুর রউফ তদন্ত সম্পন্ন করতে ৯ মাস সময় চান। তিনি আদালতকে বলেন, তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। আরও সময় দরকার।
মামলার রিটকারী আইনজীবী শিশির মনির বলেন, মামলাটির তদন্ত বারবার পেছায়। এতে জনমনে খারাপ বার্তা যায়।
পরে আদালত সাংবাদিক দম্পতি হত্যার ঘটনায় করা এ মামলার তদন্তে আরও ৬ মাস সময় মঞ্জুর করেন।
একই বিষয়ে আজ দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদর দফতর থেকে পাঠানো আরেক বার্তায় জানানো হয়েছে, কেউ কেউ ডিবির নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন, তা সঠিক নয়। আগুনে পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি। এডিশনাল এটর্নি জেনারেল জনাব আরশাদ রউফ বলেছেন। ডিবির অধিকাংশ অফিসার বদলি হওয়ায় পুরনো নথি ও ডকুমেন্টস খুঁজে পাওয়া সময় সাপেক্ষ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।