রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম রবিকে (৪০) গুলি করে এবং কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। গত রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরের বোয়ালিয়া থানার পঞ্চবটির গাড়ওয়ানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত রবি নগরীর বিনোদপুর বাজার এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী। তার ভাই শহিদুল ইসলাম শহিদ ৩০নং ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনিও শিবির নেতা নোমানী হত্যা মামলার আসামি।
জানা গেছে, বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন গাড়োয়ানপাড়ায় রবি ভাড়া বাসায় থাকতেন। বাড়ির সামনে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জন মোটরসাইকেলে এসে গুলি ছুঁড়ে ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এতে রবি বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। হামলাকারীরা সবাই মুখে রুমাল বাঁধা ও মাথায় হেলমেট পরিহিত অবস্থায় ছিল। পরে তাকে প্রত্যক্ষদর্শীরা আহত রবি রামেক হাসপাতালে পাঠালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ৩১নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর বিশ্বাসকে বলেন, রবিউলের পায়ে গুলি করা হয়েছে। এক পা ও দুটি হাতে কোপানো হয়েছে। সে হাসপাতালের ৩১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বোয়ালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, রাতে পঞ্চবটি এলাকায় রবিকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এছাড়া তাকে গুলিও করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পাঁচ রাউন্ড গুলির খোসা পাওয়া গেছে। কয়েকজন হামলাকারী মোটরসাইকেলে এসে আবার মোটরসাইকেলেই চলে গেছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, তার পায়ে গুলি লেগেছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রবিউল ইসলামের নামে মোট পাঁচটি মামলা আছে। এর মধ্যে রাবি শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলারও আসামি তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর বিনোদপুর এলাকা থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রবিউল ইসলাম। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জে জনতার হাতে আটক হয়েছিলেন আত্মগোপনে থাকা রবিউলের ভাই শহিদুল ইসলাম। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এর আগে, ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ রাবি ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী বিনোদপুর বাজারে ছাত্রশিবির, ছাত্রলীগ এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী নিহত হন।