জঙ্গি হামলার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর প্রথম প্রকাশ্য জনসভা থেকে হামলার ঘটনায় জড়িতদের কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷
আজ বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, প্রতিটি সন্ত্রাসী এবং তাদের মদতদাতাদের কল্পনাতীত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে ৷ দুনিয়ার শেষ প্রান্তে গিয়েও হামলাকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করবে ভারত৷ এদিন সভার শুরুতেই পহেলগাঁওয়ে নিহতদের স্মৃতিতে দুমিনিটের নীরবতা পালন করে বক্তব্য শুরু করেন মোদী৷
বিহারের পঞ্চায়েতি রাজের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসীরা পর্যটকদের নিমর্মভাবে হত্য়া করেছে৷ কাশ্মীরে বেছে বেছে হিন্দু নিধন করা হয়েছে পহেলগাঁওয়ে নিরীহদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। হামলায় কেউ ছেলেকে হারিয়েছেন, কেউ বাবাকে হারিয়েছেন, কেউ হারিয়েছেন স্বামীকে৷ তাদের কেউ বাংলায় কথা বলতেন, আবার কেউ ওড়িয়া ভাষায় কথা বলতেন৷ কেউ গুজরাতের বাসিন্দা, কেউ বিহারের৷
তিনি আরও বলেন, এ হামলা কেবল পর্যটকদের ওপর নয়, এটি ভারতের আত্মার ওপর হামলা। হামলাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীরা কল্পনাও করতে পারবে না যে, তাদের কী শাস্তি হতে চলেছে। হামলাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেবে ভারত। আমি গোটা দুনিয়াকে বিহারের মাটি থেকে বলতে চাই, ভারত প্রতিটি জঙ্গিকে চিহ্নিত করবে এবং শাস্তি দেবে৷ তাদের সহযোগিরাও ছাড় পাবে না। সুবিচারের জন্য যা যা দরকার সব করা হবে। এই বিষয়ে দেশ দৃঢ় সঙ্কল্প ৷
এর আগে, গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকালে জঙ্গিরা হামলা চালায় দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বেইসারান উপত্যকায়। পর্যটনে মেতে ওঠা এক উজ্জ্বল দুপুর মুহূর্তেই রূপ নেয় রক্তাক্ত বিভীষিকায়। নিহত হন ২৬ জন, আহত হন আরও অনেকে।
পাকিস্তানের ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামের একটি জঙ্গি সংগঠন এই ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই সংগঠনটি পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা।