ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় নেতা রবিউল আউয়াল অন্তরের শাস্তির দাবিতে পাল্টা মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে ইউএনওর স্বপক্ষে এই মানববন্ধনে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, ইভান মাতুব্বর, নাজমুল ইসলাম, রাশেদ মোশাররফ কল্লোল, জেমস জানিব, নাজমুস শাকিব, মোস্তফা জামান সুজন, তানজিল রহমান জয়, শামীম বেপারি, মাহবুবুল আলম নাঈম, শোয়েবুর রহমান।
বকৃতারা রবিউল আউয়াল অন্তরকে চাঞ্চল্যকর গু্ম নাটকবাজ, গুজব সৃষ্টিকারী ও কিশোর গ্যাং আখ্যা দিয়ে তার শাস্তি দাবি করেন।ভুয়া গুমের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তি দাবি করেন তাকে আইনের আওতায় আনার। দাবি করা হয়েছে, ইউ এন ও রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট, অপপ্রচার ও মানহানিকর কর্মকাণ্ড করে অন্তর অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বক্তারা ইউওএনওকে মানবিক ও দরদী হিসেবে উপস্থাপন করেন।মানববন্ধন শেষে পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
এর আগে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলামের অপসারণ দাবি করে ও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে গণ অধিকার পরিষদের সহযোগী সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সহ সম্পাদক রবিউল আউয়াল অন্তরের নেতৃত্বে কলাপাড়া ও মহিপুরের জনতার ব্যানারে বৃহস্পতিবার দুপুরে মানববন্ধন করা হয়। ওই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রবিউল আউয়াল অন্তর, ছাত্র অধিকার পরিষদের মানবাধিকার বিষয়ক সহসম্পাদক বনি আমিন সিফাত।
বক্তারা ইউএনও রবিউল ইসলাম কে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানের দোষর হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট এখানে দুর্নীতির কর্মকান্ড করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয় ।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো রবিউল ইসলাম বলেন, ‘মূলত এলোক অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সহায়তা ও হাটবাজারের ইজারা চেয়েছিল। যেটা নিয়মের বাইরে গিয়ে দেওয়ার আমার কোন সুযোগ নেই। তবে তারা যা বলেছে এ ব্যাপারে আইনি প্রতিকার নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
রবিউল আউয়াল অন্তর জানান, তিনি ইউএনওর বিরুদ্ধে যাহা বলেছেন তার সত্যতা রয়েছে এবং সকল প্রমান সংরক্ষিত আছে। তিনি তার জায়গায় সঠিক অবস্থানে আছেন বলেও মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে রবিউল আউয়াল অন্তর পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছিলেন। তাকে অপহরণ ও উদ্ধার নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। এদিকে মানববন্ধনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা অন্তরকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক মতামত ব্যক্ত করতে দেখা গেছে। তারা ইউএনওর স্বপক্ষে এসব মতামত ব্যক্ত করেন।
বর্তমানে কলাপাড়ায় এ বিষয় টি আলোচনার বিষয়ে পরিনত হয়েছে।