হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, ‘ড. ইউনূসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে, এই নারী কমিশনের প্রস্তাবনাকে যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করার। অর্থাৎ তারা আল্লাহর কোরআনের আইনকে এ দেশ থেকে উৎখাত করবেন। এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অঙ্গীকার করেছেন ড. ইউনূস। এরপরও ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কড়া কথা বললে অনেকের নাকি কষ্ট লাগে।’
নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত গণজমায়েতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আমরা ড. ইউনূস সাহেবকে অনেক সম্মান দিয়েছি। আল্লাহর কোরআনের বিরুদ্ধে যদি তিনি অবস্থান নেন তার সঙ্গেও শেখ হাসিনার চেয়ে ভিন্ন কোনও আচরণ করব না। আমরা পরিষ্কার আলটিমেটাম ঘোষণা করছি- আগামী ৩ তারিখের আগে বিতর্কিত নারী কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বাতিল করা না হলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে হেফাজতে ইসলাম।
নারী কমিশনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগস্ট বিপ্লব পরবর্তীতে এ দেশে কোরআনের বিরুদ্ধে কটাক্ষকারী কোনও প্রস্তাব সরকারিভাবে উত্থাপিত হতে পারে না। এগুলো আমরা বিস্তারিতভাবে লিখিত আকারে উপস্থাপন করেছি। এই জঘন্য কমিশনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিরাজমান ধর্মীয় উত্তারাধিকার আইন ও পারিবারিক আইন-এটাই নারীর প্রতি বৈষম্যের কারণ। এর মানে হলো বৈষম্যের জন্য তারা কোরআনের ও ইসলামের আইনকে দায়ী করছেন।’
কমিশনের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কোরআনের বিরুদ্ধে ইসলামকে কটাক্ষপূর্ণ এ ধরনের সুপারিশ করার দায়ে ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার দায়ে নারী কমিশনে থাকা প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। কোরআনবিরোধী কোনও অপশক্তির ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না।’