বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন তুলেছেন, কেন কিছু উপদেষ্টা ও স্বঘোষিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, আর এসব বিষয়ে সরকার নীরব ভূমিকা পালন করছে?
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদের মিথ্যা মামলায় ৬০ লক্ষ আসামি, মুক্তি কতদূর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
দুই উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সহকারীদের (পিএস) দুর্নীতির কাহিনী শুনলে শেখ হাসিনাও বিস্ময়ে তিনবার ডিগবাজি খেতে পারেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন নিয়ে দ্বিধা ছড়াচ্ছে। এটি জনমনে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব তৈরি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
তিনি দাবি জানান, বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল রাজনৈতিক মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময় শেষে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব দিয়ে সরে যাবে— এটাই জনগণের প্রত্যাশা। এই দেশ কারা চালাবে সেটা কোনো গোষ্ঠী বা শক্তি নয়, বরং জনগণই ঠিক করবে।