চট্টগ্রামকে ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসাবে ঘোষিত হয়। সর্ববৃহৎ বিভাগ, বৃহত্তম সমুদ্র বন্দরসহ ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বোচ্চ অবদান চট্টগ্রামে হওয়ার পরেও চট্টগ্রমের বিচার প্রার্থি জনগণ সর্বোচ্চ আইনের আশ্রয় লাভে সাংবিধানিক সম অধিকার হতে বঞ্চিত হচ্ছে। হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ চট্টগ্রামবাসীর আইনতগত ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি। এ দাবি বাস্তবসম্মত, আবশ্যিক ও ন্যায়ত সঠিক, যথার্থ ও আইন সঙ্গত।
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম হাইকোর্ট বেঞ্চ বাস্তবায়ন পরিষদ ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব এর যৌথ উদ্যোগে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম হাইকোর্ট বেঞ্চ বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি এড. এ.এস.এম. বদরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরিবদের সাধারণ সম্পাদক এড. কাশেম কামাল ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুর রহমান কচি অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ বিভাগ, যার আয়তন ৩৩৯০৪ বর্গকলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। এই বিভাগে জেলা রয়েছে ১১টি, উপজেলা ১০৩টি, থানা ১২০টি, পৌরসভা ৬২টি, ইউনিয়ন পরিষদ ৯৪৯টি, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে অবস্থিত। কিন্তু চট্টগ্রামবাসীর নাগরিক ও মৌলিক অধিকারসহ আইনগত অধিকার নিশ্চিত করিতে দীর্ঘদিনের আকাংখা হাইকোর্ট বিভাগের সার্কিট বেঞ্চ এখনো পুনঃ স্থাপন হয়নি।
মতবিনিময় সভায় আরো বলা হয়, কেবল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতিতে বর্তমানে প্রায় ৬০০০ সদস্য তন্মধ্যে প্রায় ২ হাজার হাইকোর্টে প্র্যাকটিসের অনুমতি প্রাপ্ত। এই চট্টগ্রাম আইনজীবি সমিতি সহ এই বিভাগের অধীনে সংশ্লিষ্ট জেলার আইনজীবী সমিতিতে অনেক তরুণ মেধাবী যোগ্যতাসম্পন্ন আইনজীবী আছেন। হাইকোর্ট একটিমাত্র বেঞ্চ ঢাকায় স্থাপিত হওয়ায় সেই তরুণ মেধাবী আইনজীবিগণের মেধার বিকাশ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে আর দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম রিপোরটার্স ফোরাম এর সভাপতি কাজী মনসুর , সাংবাদিক এ.কে.এম. জহরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর চট্টগ্রাম বুরো প্রধান মো. শাহনেওয়াজ, বিশিষ্ট মানবাধিকার নেতা এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, চট্টগ্রাম বারের সাবেক সেক্রেটারি জিয়াউদ্দিন আহমেদ, এডভোকেট মোস্তফা আজগর শরিফী, এডভোকেট কাজী আশরাফুল হক আনসারি, এডভোকেট সাইফুল আবেদীন, এডভোকেট পুষ্পা সুলতানা, এডভোকেট এ.বি.এম. ওমর আলী ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।