নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও সকল দপ্তরে অসত্য ভুয়া তথ্য পাঠিয়ে মানহানীর প্রতিকার চেয়েছেন মোহাম্মদ রেজাউল করিম নামে এক কলেজ শিক্ষক।
শনিবার দুপুরে শহরের একটি রেস্তরায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বাগাতিপাড়া উপজেলার পাকা ইউনিয়নের বাসিন্দা আখতারুজ্জামান হীরার ছেলে আসফাক আহমেদ রাজশাহীর পদ্মা আবাসিক এলাকায় ৩নং ব্লকে ডক্টর এইচ নামে একটি কোম্পানীতে চাকুরি দেয়ার নামে ৩০ জন ছেলের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। যার মধ্যে তার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে রাকিবের কাছে থেকে চাকুরি দেওয়ার নাম কওে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে চাকরি না দিলে সেই টাকা ফেরত চাইলে প্রতারক আসফাক আহমেদ ও তার মা আনোয়ারা বেগমের নামের চেক দেন। কিন্তু সেই চেক নিয়ে ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে একাউন্টে কোন টাকা নেই বলে জানান ব্যাংক কর্মকর্তা। পরে এ বিষয়ে আশফাক আহমেদের কাছে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, আসফাকের ছোট ছেলে বাড়িতে খেলাধুলার সময় পড়ে গিয়ে সামান্য গাল কেটে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে কলেজ শিক্ষক রেজাউল করিম, এলজিইডিতে কর্মরত তার ভাই রফিকুল ইসলাম ও ভাগ্নে রাকিবসহ অন্যদের আসামী করে হয়রানী করছে। পরবর্তীতে তার ভাই সিংড়া এলজিইডি সার্ভেয়ার মো. রফিকুল ইসলামকে নিয়ে ভিত্তিহীন মিথ্যা জিডি করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে। এমনকি প্রধান উপদেষ্টাসহ দেশের প্রায় সকল দপ্তরে মিথ্যা ভিত্তিহীন লিখিত অভিযোগ দিয়ে তাকে বিপদে ফেলা ও হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। প্রশাসনের কাছে তিনি বিষয়গুলো তদন্ত করে আসফাক আহমেদকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানিয়েছেন। এসময় ভুক্তভোগী রাকিব হোসেন বলেন, অভিযুক্ত আসফাক আহমেদ তাকে অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫ লাখ টাকা নেন। পরবর্তীতে চাকরি না দিলে টাকা ফেরত চাওয়ায় মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকেই কারাগারে পাঠান। তিনি এই প্রতারক আসফাক আহমেদের বিচার দাবী করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসফাক আহমেদ টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার মা অসুস্থতার কারণে তার বাবার কাছ থেকে সুদে টাকা নেয়। পরবর্তীতে সেই টাকা সুদ আসলে ফেরত দেওয়া হয়েছে। টাকা ফেরত দেওয়ার প্রমাণও তার কাছে রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।