ঢাকা-চট্রগ্রাম সীতাকুণ্ড অংশে মহাসড়কে প্রতিদিনই লেগে থাকে যানজট। কিছুদিন পুর্বে যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসীর বিশাল মানববন্ধন ও প্রশাসনের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করা হলেও এতে কোন প্রতিকার হয়নি।
কোনভাবেই যানজট কমছে না। যানজটে পরে ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়িতে বসে থাকতে হয় যাত্রী ও মালবাহী পরিবহন। যানজট কখন ছুটে তাও জানা নেই কারো। এদিকে, পথে পথে অপরিকল্পিত পার্কিং, অবৈধ ট্রাক টার্মিনালসহ বিভিন্ন স্থানেউ অবৈধ পার্কিংয়ে যানজটের প্রধান কারন বলে জানান এলাকাবাসী। বিভিন্ন শিল্প কারখানার গাড়ির কারনেই প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে, এতকিছুর মধ্যে নির্বিকার হাইওয়ে পুলিশ। দুর্বল ভূমিকায় থাকেন তারা।
এদিকে, যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রবিবার (৩১ জুলাই) সকালে ভাটিয়ারী পরিষদের উদ্যোগে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
উক্ত মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ্ আল বাকের ভুঁইয়া।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী নাজমুল হক।
অন্যানদের মধ্যে ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, ভাটিয়ারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আজম জসিম, সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আলহাজ্ব মো. ইউনুচ, সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগে অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও বাস মালিক পক্ষগন সভায় উপস্থিত থেকে সকলে মতামত পেশ করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক সারাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্রগ্রামের প্রবেশ মুখ। প্রতিদিন দীর্ঘ যানজটে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই সন্ধার পর শহরে থেকে সীতাকুণ্ড আসতে ৩-৪ ঘন্টা সময় লেগে যায়। এভাবে মহাসড়কে এক ঘন্টার পথ পেরুতে সময় লাগে ৩ ঘন্টা। যানজটে পড়ে দেশের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় বলে জানান।
এছাড়া যাত্রী, মুমুর্ষ রোগী, জরুরী পরিবহন চলাচল করে এ মহাসড়কে। তাই হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়ককে যানজটমুক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা প্রয়োজন।
-বাবু/ফাতেমা