লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পাওনা টাকা দিতে দেরি হওয়ায় ভাতিজা সহিদারের (৩২) মাথা ফাটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে ফুপা সামছুলের (৫০) বিরুদ্ধে। আহত সহিদার রহমান বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় গত সোমবার (২৯ আগষ্ট) বিকেলে সহিদার রহমান বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এর আগে গত রবিবার (২৮ আগষ্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের অডিটোরিয়াম এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
এর আগে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করেন, ওই সহিদারের পরিবারকে? তারা এখন বসত করে রড়খাতায়।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার বাড়াই পাড়া এলাকার সামছুল(৫০) ও তার ছেলে আমিনুর(৩০)। আহত সহিদার রহমান উপজেলার দোলাপাড়া এলাকার একরামুল হকের ছেলে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত সামছুল আহত সহিদারের সম্পর্কে ফুপা। প্রায় দেড় মাস আগে সহিদার ১২ মন ধানের জন্য ফুপা সামছুলের কাছে ১০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু কিছুদিন পর সহিদারের সেই ধান একটু খারাপ হওয়ায় সামছুল আর নেয়নি। পরে সহিদারের কছে টাকা ফেরত চান। সেই টাকা ফেরত দেয়ার জন্য ১ মাস সময় নেন সহিদার। সময় মত টাকা ফেরত দিতে নাপারায় গত ২৮ আগষ্ট সন্ধ্যায় উপজেলার অডিটোরিয়াম এলাকায় সহিদারের পথ রোধ করে সামছুল ও তার ছেলে আমিনুর। এ নিয়ে তাদের মাঝে বাকবিতন্ডায় শুরু হয়। এক পর্যায়ে আমিনুর ও সামছুল সহিদারকে মারধর শুরু করে। এ সময় তারা লাঠি দিয়ে সহিদারের মাথায় আঘাত করে। এতে করে সহিদারের মাথা ফেটে যায় এবং সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে সহিদার রহমান বলেন, আমার ধান গুলো নষ্ট হওয়ায় তিনি আর নেননি। কিন্তু টাকা খরচ হওয়ায় আমি সময় নেই৷ সময় মত টাকা দিতে না পারায় তারা আমাকে মারধর করেছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। সঠিক করে সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাই।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সামছুলের ছেলে আমিনুরের মোবাইল নম্বরে একাধিক বার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে আবারো কল করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, আহত সহিদারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাবু/এসএম