মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টি এবং পরে অতিবর্ষণে চাষাবাদ ব্যাহত হলেও এখন স্বস্তি ফিরেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর আমন চাষীদের। ফসলি খেতে চাষাবাদ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এরমধ্যে সারের কৃত্রিম সংকট যেন সৃষ্টি না হয়Ñএজন্য মনিটরিং টিম কাজ করছে বলে জানান উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ।
প্রশাসনের তথ্য বলছে, এ উপজেলার কৃষকদের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে। কোন খুচরা বিক্রেতা বা ডিলার যদি কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার বিকেল ৪ টা পর্যন্ত সার মনিটরিং কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ীÑ এ উপজেলায় ২০৫ দশমিক ৫ মেট্রিকটণ ইউরিয়া সার, ৭৩ টণ টিএসপি, ৩২ দশমিক ৭৫ টণ এমওপি এবং ১৪৪ দশমিক ৫ টণ ডিএপি সার মজুদ রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, এই মুহূর্তে সার সংকট নেই। তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক মজুরি বেড়েছে ১০০ টাকা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ট্রাক্টর দিয়ে জমি প্রস্তুত করতে বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে চাষীদের। এরফলে এই মৌসুমে উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নের ভূইয়াকান্দা গ্রামের কৃষক ইছা মুন্সি বলেন, ‘তেল ও শ্রমিক মজুরি বাড়ায় প্রতি কানিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা।’ কিন্তু উৎপাদন খরচ বাড়লেও ধানের ন্যায্য দাম মিলবেতো, এমন প্রশ্ন স্থানীয় কৃষকদের।
কৃষি বিভাগ বলছে, ইতোমধ্যে ২০ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এবারে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ হাজার ৩০৮ হেক্টরের। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল আহম্মেদ বলেন, ‘এ মৌসুমে আমরা আশা করছি আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘রাঙ্গাবালীতে সারের কোন সংকট নেই। পর্যাপ্ত সার আমাদের মজুদ রয়েছে। কেউ যদি সার সংকটের অজুহাত দেখায় কিংবা বেশি দামে সার বিক্রি করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এজন্য মাঠপর্যায় মনিটরিং টিম কাজ করছে।’
বাবু/এসএম