কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জনবল কাঠামো ও নিয়োগবিধি বাস্তবায়নসহ ন্যায্য ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চলছে অর্ধদিবস কর্মবিরতি৷
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে এ অর্ধদিবস কর্মবিরতি ৷ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার সংযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি ও ত্রাণ কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম৷
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসে চলছে অর্ধদিবস কর্মবিরতি। ত্রাণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২ কার্যকর হয়েছে প্রায় এক যুগ আগে। অথচ এর আওতায় কর্মরত জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরআরও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের (পিআইও) জনবলকাঠামো ও নিয়োগবিধি এখনো অনুমোদন হয়নি। পদ দুটির আপগ্রেডেশন প্রস্তাবও পড়ে আছে মন্ত্রণালয়ে। ফলে ডিআরআরও-পিআইওরা কাঙ্খিত আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন না।
ত্রাণ কর্মকর্তা বলেন, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্পসহ দেশের যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি লাঘবে, মানবিক সহায়তা ত্রাণ বিতরণে যারা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে সারাবিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তারা হচ্ছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। কিন্তু দুঃখের বিষয় বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ২০২২ সালেও অবহেলিত এবং বঞ্চিত।
ত্রাণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর বলেন, আমাদের পাঁচটি যৌক্তিক দাবি নিয়ে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ গত ৮/১০ বছর ধরেই সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলন করে আসছে। তবে চলমান এই কর্মসূচির যৌক্তিক দাবিগুলো যদি আদায় না হয় তাহলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে ১২ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ অর্ধদিবস কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা৷
বাবু/জাহিদ